বৃহস্পতিবার, ২৮শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলে কখন থেকে কার্যকর হবে—প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির *** শাহবাগে এসে শিক্ষার্থীদের কাছে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’ *** ২৮ তারিখ নয়, রাকসুর ভোট গ্রহণ ২৫শে সেপ্টেম্বর *** গাজা যুদ্ধের কভারেজ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক ঘোষণা দিয়ে রয়টার্স ছাড়লেন *** ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ *** জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামা সংশোধন করবে কমিশন *** পান্নুন হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত ‘র’–এর সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিল্লিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা *** বেসরকারি খাতে যাচ্ছে নগদ, এক সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি: গভর্নর *** নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে বিরতিতে বাংলাদেশ *** চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানির চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নিতে তিন উপদেষ্টার নির্দেশ

জয়পুরহাটের কলা যাচ্ছে সারাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, ৬ই এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে কলা চাষ করে অনেকেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। অনেক পরিবারই এখন শুধু কলা উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভালো উৎপাদনের কারণে এ জেলায় গড়ে উঠেছে বড় একটি কলার বাজার। জয়পুরহাটসহ পাশের জেলা নওগাঁ, বগুড়া ও দিনাজপুরের কিছু উপজেলা থেকেও কলা নিয়ে আসা হয় এ কলার বাজারে। যেখান থেকে প্রতিদিনই ২৫-৩০ ট্রাক কলা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

চাষি, ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের ৩০-৩৫টি জেলায় বিক্রি হচ্ছে জয়পুরহাটের এ কলা। দুর্গাদহের জামালগঞ্জ বাজারের মতো কলা বেচাকেনার বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। এসব বাজার থেকে কলা কিনে ব্যবসায়ীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালীসহ অন্তত ৩৫ জেলায় সরবরাহ করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটে এবার ৭৫০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ জমি থেকে প্রায় ৪০ হাজার টন কলা পাওয়া যাবে। সদর উপজেলার জামালগঞ্জ ও ভাদসায় কলার চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। জেলায় বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ কলা চাষি আছেন। এরমধ্যে অনেকেই আয়-রোজগারের জন্য পুরোপুরি কলার ওপর নির্ভরশীল।

সদর উপজেলার মহুরুল গ্রামের কৃষক রোস্তম আলী বলেন, ‘অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে কলায় লাভ বেশি। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল কলা রোপণ করা হয়। আর ৯ মাস পরই ফলন পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে জাতভেদে ৩০০-৩৫০ কলার চারা রোপণ করা যায়। এতে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। কলা পাওয়া যায় অন্তত ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার।

সদর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকার মাতাপুর গ্রামের কলাচাষি ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘কলা চাষে বা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। পাইকাররা এসে জমি থেকে কলা কিনে নিয়ে যান।’

জামালগঞ্জ বাজারের কলা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জয়পুরহাটে উৎপাদিত কলার চাহিদা বেশ ভালো। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় আমরা এ কলা পাঠাই।’

সিলেট থেকে কলা কিনতে আসা ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা এখান থেকে কলা কিনে সিলেট, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করি। এখানকার কলা মোটামুটি ভালো হওয়ায় প্রতিদিনই কলা নিয়ে যাই।’

ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, ‘এ কলা চাষ করে এখানকার অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমাদের এ বাজার থেকে প্রতিদিনই ২৫-৩০ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। ভবিষ্যতে বাজারটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা আছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা বেগম বলেন, ‘জেলায় বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়। কৃষকদের কলা চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। এজন্য জেলার চাষিরা কলা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।’

এমএইচডি/এম/

জয়পুরহাট কলা সারাদেশ জীবিকা নির্বাহ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন