ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান ড. মুমিত আল রশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕒 প্রকাশ: ১২:২২ অপরাহ্ন, ১৩ই নভেম্বর ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষী ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ। দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বাহাউদ্দীনের কাছ থেকে ৩ বছরের জন্য তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ড. মুমিত আল রশিদ ২০০২ সালে ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক, ২০০৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৯ সালে ইরানের তারবিয়্যাত মোদাররেস বিশ্ববিদ্যালয় (শিক্ষক প্রশিক্ষণ) থেকে গুলদাস্তে গুলশান মানি গ্রন্থের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও শুদ্ধিকরণ (প্রিয়তমার সৌন্দর্য নিয়ে সংকলিত কবিতামালা) বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
ড. মুমিত আল রশিদ ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট ফারসি বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে ২০২১ সালে তাকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
ড. মুমিত আল রশিদের দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণাধর্মী জার্নালে বাংলা, ইংরেজি ও ফারসি ভাষায় ইতোমধ্যে ২০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮টি। তিনি ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ফেরেশতে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেন এবং ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র “দিন দ্যা ডে” ছবির অনুবাদক এবং মূল উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক প্রথম আলোতে ইরানি ইতিহাস, উৎসব, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন।
ড. মুমিত ইরানে থাকাকালীন বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য ইরানের ৬টি জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল ‘ইউসুফ-জুলেখা’, ‘আসহাবে-কাহাফ’, ‘কারবালা কাহিনী’, ‘বিবি মরিয়ম’, ‘ইসা নবি’, ‘শেহেরজাদ ফরহাদ’ মূল ফারসি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। এছাড়া তিনি ৩৩টি ইরানি চলচ্চিত্র বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য মূল ফারসি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন এবং আরও ১৭টি চলচ্চিত্র সম্পাদনার কাজ করে যাচ্ছেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পরে ড. মুমিত আল রশিদ বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালনকালে ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের বাস্তব ও গবেষণাধর্মী মৌলিক শিক্ষা উন্নয়নের পাশাপাশি সৃজনশীল শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। তাছাড়া আমি যেহেতু দীর্ঘদিন ইরানে অবস্থান করেছি তার আলোকে বিভাগের তরুণ শিক্ষকদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন, বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ এবং সেটির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কাজ করে যেতে চাই। আমাদের শিক্ষাবান্ধব উপাচার্য স্যারের সার্বিক সহযোগিতায় আশা করছি কাজগুলো সুন্দরভাবে করতে পারবো।
আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন

নাহিদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানে যা বললেন সালাহউদ্দিন
🕒 প্রকাশ: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫

মিষ্টির বাক্সের ওজন বেশি, অতঃপর টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামবাসীর...
🕒 প্রকাশ: ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫

থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’ আজ
🕒 প্রকাশ: ১০:২০ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫

অপহরণের পাঁচ ঘন্টা পর নিজ বুদ্ধিতে মুক্ত পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
🕒 প্রকাশ: ১০:০১ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫

বিয়ে করলেন ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম
🕒 প্রকাশ: ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫