সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধনেপাতা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৩ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

ধনেপাতা চাষে অনেক কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা লাভজনক ধনেপাতা চাষে ফিরে পাচ্ছেন আর্থিক স্বচ্ছলতাও। কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলায় উৎপাদিত ধনেপাতা এখানকার হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে নগরীর বিভিন্ন হাট-বাজারেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

উপজেলার হরিপুর, কালির বাজার এলাকার কৃষকরা ধনেপাতা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। উর্বর পলি মাটিতে খুবই দ্রুত বেড়ে উঠে ধনেপাতা গাছ। সরেজমিনে হরিপুর এলাকায় গিয়ে কথা হয় মো. কামাল হোসেন নামের এক ধনেপাতা চাষির সঙ্গে। তিনি জানান, ধনেপাতা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এটির চাষাবাদের ফল বেশ দ্রুতই পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, নিজের ২০ শতক জায়গায় তিনি ধনে পাতা চাষ করেছেন। এছাড়া প্রায় ৩৫ শতক জায়গায় করা একটি ধনেপাতার ক্ষেত অন্যের কাছ থেকে কিনেন ৪০ হাজার টাকায়। বর্তমানে ধনে পাতার বাজারমূল্য প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা বলেও তিনি জানান।

জানা যায়, ধনিয়ার পাতা মসলা বা খাদ্য সুগন্ধিকারক হিসেবে বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হয়। এ দেশের মতো ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্লোরিডা, হাওয়াই প্রভৃতি দেশেও রান্নার মসলা হিসেবে ধনিয়া বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এর কাঁচা পাতা ব্যবহার হয়।

শুকালেও এ পাতার তীব্র সুগন্ধ নষ্ট হয় না। ধনিয়া যে শুধু রান্নাকে সুগন্ধময় ও সুস্বাদু করে তাই নয়, এর ভেষজ মূল্যও আছে। জ্বর, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা, পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া, কৃমি, সাপে কামড়ানো, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ধনিয়া সফলভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

আরো পড়ুন: কম খরচে তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, ধনিয়া পাতার রয়েছে- ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, ৬ ধরনের অ্যাসিড, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য ফাইবার, ম্যাংগানিজ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ফসফরাস, ক্লোরিন ও প্রোটিন। এই উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং যেকোনও চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।

এসি/ আই. কে. জে/ 



ধনেপাতা চাষ

খবরটি শেয়ার করুন