ফাইল ছবি
চালের জন্য বিখ্যাত নওগাঁয় গত দুই সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম বস্তা (৫০ কেজি) প্রতি ২০০-৩০০ টাকা কমেছে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে চালের দাম কেজি প্রতি দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত কমেছে। এক্ষেত্রে সরু চালের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে।
নওগাঁয় ৮০টি অটো রাইস মিল রয়েছে। আর হাস্কিং মিল রয়েছে ১ হাজার ১৬০টি। এখানকার মোকামে চালের দাম বাড়লে বা কমলে সারা দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর সদর উপজেলার মিলগেটে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা জিরাশাইল চাল পাইকারিতে ২ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় ও কাটারিভোগ ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মিল মালিকরা বলছেন, “দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম পাইকারিতে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।”
এদিকে পাইকারি বাজারে চালের দাম কমার প্রভাব নওগাঁর খুচরা বাজারেও পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারের খোলাবাজারে বিক্রিসহ (ওএমএস) বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকায় এবং আউশ ধান বাজারে উঠতে শুরু করায় নওগাঁর মোকামে দুই সপ্তাহ ধরে মোটা ও মাঝারি চালের দাম নিম্নমুখী। গত বোরো মৌসুমে উৎপন্ন হওয়া মোটা চালের (ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড জাত) প্রতি কেজির দাম দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, তা কমে এখন ৪১ থেকে ৪২ টাকায় নেমেছে। মাঝারি চাল হিসেবে পরিচিত ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা সপ্তাহ দুয়েক আগে ছিল ৫০-৫২ টাকা।
এব্যাপারে নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন,“পাইকারিতে কম দামে চাল পাওয়ায় খুচরাতেও আমরা কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি।”
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন