শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারতের সময় যা অবশ্যপালনীয়

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:২১ অপরাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৩

#

নবীজির রাওজা মোবারক ।। ছবি: সংগৃহীত

নবীজির শহর মদিনা মুনাওয়ারা। এক স্বর্গীয় নগরী, আর এর পরতে পরতে নবীজির স্মৃতিবিজড়িত। মদিনার প্রাণকেন্দ্র হলো মসজিদে নববী। এখানে সবুজ গম্বুজের নিচে শায়িত দোজাহানের মহান নেতা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.)। তাই হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের ক্ষেত্রে তার যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার প্রতি বিশেষ লক্ষ রাখা অপরিহার্য।

অনেকেই হয়তো জানেন না, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে আওয়াজ উঁচু করা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চস্বরে কথা বলো তার সঙ্গে তেমন উচ্চস্বরে কথা বলো না। কেননা, এতে তোমাদের আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে তোমাদের অজ্ঞাতসারে।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ২)

এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের হাজিরা সৌদি আরবে সমবেত হতে শুরু করেছেন। তাদের অনেকেই নবীজি (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করতে মদিনায় অবস্থান করছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের ক্ষেত্রে তার সম্মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ রাখা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনো এবং রাসুলকে শক্তি জোগাও ও তাকে সম্মান করও; সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।’ (সুরা : ফাতহ, আয়াত : ৮-৯)
 
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, নবী (সা.)-এর কবরে আওয়াজ উঁচু করা নিষিদ্ধ, যেমন নিষিদ্ধ ছিল তার জীবৎকালে। কেননা, তিনি মৃত্যুর আগে ও পরে সর্বাবস্থায় সম্মানিত। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৭/৩৬৭)

আরো পড়ুন: বিলাসিতা বা আরামপ্রিয়তা কি ইবাদতের অন্তরায়?

আল্লামা শিনকিতি (রহ.) বলেন, জীবৎকালের মতোই মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্মান রক্ষা করা অপরিহার্য। সুতরাং বর্তমানে রাসুলে আকরাম (সা.)-এর দরবারে মানুষ যেভাবে দৃষ্টিকটু ভিড় করে, তাড়াহুড়ো ও ছোটাছুটি করে, আওয়াজ উঁচু করে তার সবই নাজায়েজ এবং তার সম্মানের পরিপন্থি। ওমর (রা.) মসজিদে নববীতে আওয়াজ উঁচুকারী দুই ব্যক্তির সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করেছিলেন। (আদওয়াউল বয়ান : ৭/৪০৩)

শায়খ বিন বাজ (রহ.) বলেছেন, রওজায়ে আতহারে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা, বারবার সালাম দিতে থাকা, ভিড় করে থাকা অনুচিত। কেননা, তা নবীজি (সা.)-এর সম্মানের পরিপন্থি কাজ। (মাজমাউ ফাতাওয়া : ১৬/১০৮)।

সূত্র: সৌদি গেজেট।

এম এইচ ডি/

পবিত্র কোরআন নবীজি মদিনা মুনাওয়ারা হাজি সৌদি আরব মসজিদে নববী দোজাহানের মহান নেতা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) রওজা মোবারক জিয়ারত

খবরটি শেয়ার করুন