বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর পরবর্তী পদক্ষেপ

পদ্মা সেতুর পাশে ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০২ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুসংলগ্ন আশপাশের এলাকায় এবার দেশের প্রথম অপেরা হাউজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর। তিনি তাতে সম্মতি দিলেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, অপেরা হাউজ পদ্মা সেতুর কাছাকাছি নির্মাণের বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা সিডনি অপেরা হাউজের আদলে হাতিরঝিলে ‘ঢাকা অপেরা হাউজ’ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কাজও এগিয়ে গিয়েছিল অনেকখানি। সেখানে জমি অধিগ্রহণ করে এটি নির্মাণ করা হবে-এমটাই পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু সেখানে জমির মূল্য অনেক বেশি। তারপর আরও ভাবা হয়, অপেরা হাউজটি সেখানে নির্মাণ করা হলে হাতিরঝিলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। এটি চিন্তা করেই অপেরা হাউজটি পদ্মা সেতুর আশপাশে নির্মাণ করা যায় কিনা সেরকম একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি প্রাথমিক অনুমোদনের জন্য। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর আমরা পরবর্তী কাজ শুরু করব। ডিজাইন, ড্রইং তারপর হবে।

অপেরা হাউজের নামকরণের বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে কেএম খালিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নামে আমরা করতে চাই। এ বিষয়ে নতুনভাবে কোনো প্রকল্প বা ডিপিপির কাজ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেমন কিছুই এখনো করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা পেয়ে আমরা কাজ করব।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ১৭ এপ্রিল সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সাক্ষাতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণে জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছিলেন।

আরো পড়ুন: কমনওয়েলথকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। জাইকার মাধ্যমে বিগত কয়েক দশক ধরে জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেরা হাউজ নির্মাণে বিনিয়োগ একটু কঠিন। তবে এটি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার প্রকল্প হলে বাংলাদেশকে অফিশিয়াল প্রস্তাব পাঠাতে হবে। যেহেতু এটি বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেজন্য এ বিষয়ে জাপান সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

রাষ্ট্রদূত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমেও এটি বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালে প্রথম হাতিরঝিলে অপেরা হাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ‘ঢাকা অপেরা হাউজ কমপ্লেক্স’ শীর্ষক এ প্রকল্পের নকশা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপনও করা হয়। এই অপেরা হাউজ আগামীতে যেখানেই নির্মাণ করা হোক না কেন এখানে অনেকগুলো মিলনায়তন, সিনেপ্লেক্স আর পৃথক পৃথক মঞ্চ থাকবে যা দেশের শিল্প-সাহিত্যের চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এম এইচ ডি/

পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ

খবরটি শেয়ার করুন