সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে রকেট লঞ্চার দিয়ে হিন্দু মন্দিরে হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:২২ অপরাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের কাশমোরে ডাকাতদের একটি দল 'রকেট লঞ্চার' দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয়ে আক্রমণ করেছে।

রবিবার ভোরবেলা সিন্ধুর কাশমোরে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপাসনালয়ে দ্বিতীয়বারের মত ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রথম ঘটনাটি করাচিতে ঘটে যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনেরা ঘুমাচ্ছিলো। শনিবার জেগে উঠে দেখতে পায় যে, সোলজার বাজারের পুরানো মারি মাতা মন্দির মাটিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

আর দ্বিতীয়টি, আততায়ীরা কাশমোরে ঘৌসপুর থানার আওতাধীন হিন্দুদের মন্দির এবং সংলগ্ন বাড়িতে হামলা চালায়।

গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, দুষ্কৃতিকারীরা মন্দির ও বাড়িতে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলির শব্দের পর কাশমোর-কান্ধকোট এসএসপি ইরফান সাম্মোর নেতৃত্বে পুলিশের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতরা উপাসনালয়ে 'রকেট লঞ্চার' নিক্ষেপ করে।সৌভাগ্যক্রমে, হামলার সময় মন্দিরটি বন্ধ ছিল। 

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান যে, মন্দিরটি বাগরি সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত ধর্মীয় পরিষেবার জন্য বার্ষিক খোলা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার পর সন্দেহভাজনরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

এসএসপি সামমো অনুমান করেছেন যে, আট থেকে নয়জন বন্দুকধারী ছিল, যাদের তারা নদীতীরবর্তী এলাকায় ট্র্যাক করেছিল।

এদিকে, বাগরি সম্প্রদায়ের একজন সদস্য সুরেশ জানান যে, ডাকাতদের ছোড়া "রকেট লঞ্চার" বিস্ফোরিত হতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে কোন প্রাণহানি হয়নি।

তিনি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য পুলিশকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ঘটনাটি বাসিন্দাদের আতঙ্কে ফেলেছে।

এদিকে, পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) বলেছে যে, "সিন্ধুর কাশমোর এবং ঘোটকি জেলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার খবরে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সেখানে নারী ও শিশু সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০ জন সদস্য অভিযোগ করেছে যে, তারা সংগঠিত অপরাধী চক্রের হাতে জিম্মি।"

মানবাধিকার কমিশন আরও জানান, "এছাড়াও, আমরা ভয়ংকর রিপোর্ট পেয়েছি যে, এই দলগুলি উচ্চ-গ্রেডের অস্ত্র ব্যবহার করে সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে আক্রমণ করার হুমকি দিয়েছে।" 

মানবাধিকার কমিশন সিন্ধুর স্বরাষ্ট্র বিভাগকে দেরি না করে বিষয়টি তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার-শনিবার রাতে ঘটে যায় অন্য একটি হামলার ঘটনা। যার ফলে শনিবার সকালে করাচির  সোলজার বাজারে হিন্দু সম্প্রদায় দেখতে পায় তাদের ১৫০ বছরের পুরানো পবিত্র মারি মাতা মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় এ অভিযান চালানো হয়। তখনই খননকারী এবং বুলডোজার মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে আসে। বাইরের দেয়াল এবং প্রধান গেট অক্ষত রেখে তারা পুরো ভিতরের কাঠামো ভেঙে দিয়েছে।

বাসিন্দারা বুলডোজার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের 'কভার' দেওয়ার জন্য একটি পুলিশ গাড়ি উপস্থিত দেখেছেন বলে দাবি করেছেন৷

পাকিস্তান রকেট হামলা

খবরটি শেয়ার করুন