তামিম-মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক। ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের শুরুতেই বাজিমাত দেখালো ফরচুন বরিশাল। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে তারা দলভূক্ত করে নিয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের মূল্য ৮০ লাখ টাকা।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্রথম রাউন্ডে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিককে দলে নিয়ে নেয় বরিশাল। আগেই তামিম ইকবালকে দলভূক্ত করেছিলো তারা। এবার বরিশাল স্কোয়াডে ঠাঁই মিলে গেলো মুশফিকেরও।
বিপিএলে এটি মুশফিকের নবম ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিপিএলে এখন পর্যন্ত মুশফিক ম্যাচ খেলেছেন ১১১টি। ১০৫ ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রান ২৮৮২। যা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশির ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের।
বিপিএলে এর আগে আরও আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছিলেন মুশফিক। এর তিনটিই ছিল সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজির-রয়্যালস, সুপারস্টার্স ও স্ট্রাইকার্স।
মুশফিক এর আগেও একবার বরিশালের হয়ে খেলেছেন, সেটা ২০১৬ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে। ফরচুন বরিশালের হয়ে এবারই প্রথম খেলবেন মুশফিক। এ ছাড়া তিনি খেলেছেন চিটাগং ভাইকিংস, দুরন্ত রাজশাহী, রাজশাহী কিংস ও খুলনা টাইগার্সের হয়ে। সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ মুশফিক খেলেছেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। গত মৌসুমে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে মুশফিক রান করেছিলেন ৩৫৭ । ফাইনালে পেয়েছিলেন ফিফটিও।
দেখে নেওয়া যাক, ড্রাফটের পর কেমন হলো বিপিএলের সাত দল:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনীল নারাইন, তাওহিদ হৃদয়, মঈন আলী, আন্দ্রে রাসেল, ইফতিখার আহমেদ, জামান খান, খুশদিল শাহ, জনসন চার্লস, নুর আহমেদ, নাসিম শাহ, রশিদ খান।
ড্রাফট থেকে:
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, রাকিম কর্নওয়াল, ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড, ইমরুল কায়েস, মুশফিক হাসান, এনামুল হক।
দুর্দান্ত ঢাকা
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, শরীফুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, সায়েম আইয়ুব, উসমান কাদির।
ড্রাফট থেকে:
সাইফ হাসান, ইফরান শুক্কুর, আলাউদ্দিন বাবু, মেহরব হোসেন, লাহিরু সামারাকুন, সাদিরা সামারাবিক্রমা, মোহাম্মদ নাঈম, সাব্বির হোসেন, জসিমউদ্দিন।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান, নিহাদউজ্জামান, শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারিস, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ হাসনাইন, স্টিভ এসকিনাজি।
ড্রাফট থেকে:
তানজিদ হাসান, আল আমিন হোসেন, সৈকত আলী, ইমরানুজ্জামান, কার্টিস ক্যাম্ফার, বিলাল খান, শাহাদাত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল।
খুলনা টাইগার্স
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
নাসুম আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, এনামুল হক, এভিন লুইস, ফাহিম আশরাফ, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, শাই হোপ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
ড্রাফট থেকে:
আফিফ হোসেন, রুবেল হোসেন, পারভেজ হোসেন, হাবিবুর রহমান, কাসুন রাজিতা, দাসুন শানাকা, মুকিদুল ইসলাম, আকবর আলী, সুমন খান।
রংপুর রাইডার্স
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, আজমাতউল্লাহ ওমরজাই, নিকলাস পুরান, সাকিব আল হাসান, বাবর আজম, এহসানউল্লাহ, মাথিশা পাথিরানা, ব্রেন্ডন কিং, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
ড্রাফট থেকে:
রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, রিপন মণ্ডল, হাসান মুরাদ, মিশেল রিপন, ইয়াসির মোহাম্মদ, আবু হায়দার, ফজলে রাব্বি, আশিকুজ্জামান।
ফরচুন বরিশাল
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, ইব্রাহিম জাদরান, তামিম ইকবাল, শোয়েব মালিক, পল স্টার্লিং, ফখর জামান, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, দুনিত ভেল্লালাগে।
ড্রাফট থেকে:
মুশফিকুর রহিম, রকিবুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ, কামরুল ইসলাম, প্রিতম কুমার, তাইজুল ইসলাম, প্রান্তিক নওরোজ, দিনেশ চান্ডিমাল।
সিলেট স্ট্রাইকার্স
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি:
মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাকির হাসান, তানজিম হাসান, নাজমুল হোসেন, রায়ান বার্ল, বেন কাটিং, হ্যারি টেক্টর।
ড্রাফট থেকে:
মোহাম্মদ মিঠুন, রেজাউর রহমান, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী, রিচার্ড এনগারাভা, দুশান হেমন্ত, নাজমুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম, জাওয়াদ রোয়েন, সালমান হোসেন।
ড্রাফট থেকে দল না পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আলোচিত নাম মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমান।
একে/ওআ
খবরটি শেয়ার করুন