শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি থাকলে নির্বাচনী কৌশল ভিন্ন হতো: কাদের

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৫ অপরাহ্ন, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। সেহেতু এখানে জোট করার প্রয়োজনীয়তা নেই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের সমন্বয় হয়েছে। এটা আমাদের নির্বাচনী কৌশল। তবে বিএনপি নির্বাচনে থাকলে নির্বাচনী কৌশল ভিন্ন হতো।

সোমবার (১৮ই ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দলীয় প্রার্থীসহ সব প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করছে। তারপর শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য, আমাদের দলীয় কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০শে ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সিলেটে নির্বাচনের প্রথম জনসভা করবেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আগামী ২৭শে ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আমরা জাতীয় পার্টির জন্য ২৬ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শরিক দলের প্রার্থীরা ছয়টি আসনে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবেন। সবমিলিয়ে ২৬৩ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ১৪ দলসহ নৌকার প্রতীকে থাকছেন ২৭০ জন।

দেশের জনগণ ভোট প্রদানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে— মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮৮৬ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। স্বতন্ত্র আছে ৩৫৭ জন। নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। আশা করি, একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, বিএনপি নেতা নজরুল সাহেব বলেছেন, সোমবারের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে কারা এমপি হচ্ছেন। এ ধরনের ভাগবাটোয়ারা করে নির্বাচন বিএনপির আমলেই সম্ভব। তারা তো বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ, নূর, হুদা ছাড়া প্রার্থীই পাননি। উনি এখন জ্যোতিষী, গণকের ভূমিকা নিচ্ছেন। এতই যদি ভবিষ্যৎ পড়তে পারেন, তাহলে জানান কবে তারেক রহমান দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হবে। 

তিনি আরো বলে, আমরা তো বিএনপিকে নির্বাচনে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা আসেনি। নির্বাচনে আসলে একটা সম্ভাবনা নিয়ে তো থাকতে পারতেন। ঢালাওভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গাজীপুরে রেল লাইন কাটার নাশকতার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন কাউন্সিলর। গ্রেপ্তার হওয়ার সাতজনই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী।

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন ৪০ বুদ্ধিজীবী। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে তারা (বুদ্ধিজীবী) বিএনপির রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। তাদের বিবৃতি দেওয়ার আগে উচিত ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো। যখন তাদের বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিল তখন তারা দেয়নি। তাদের উচিত ছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বলে তিরস্কার করা। 

আরো পড়ুন: আ.লীগের ইশতেহার ঘোষণা ২৭ ডিসেম্বর

কাদের বলেন, আমি ৪০ জন নাগরিককে বলব, আপনারা কেন জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেননি। দেশে যে নাশকতা হচ্ছে, গাজীপুরের ট্রেন লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে, পুলিশকে মারা হলো, আনসারকে মারা হলো, কোর্টের এজলাসে গিয়ে হামলা চালানো হলো, এতগুলো বাসে আগুন দেওয়া হলো, ট্রেনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলা হলো— এসব ব্যাপারে ৪০ নাগরিক নীরব কেন? 

হরতাল-অবরোধ কি তারা সাপোর্ট করেন— এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, যে বুদ্ধিজীবীরা আজ জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল-অবরোধ সাপোর্ট করছেন তারা আসলে বিএনপির দালাল। ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরও তারা বলছেন একতরফা নির্বাচন। আসলে বিএনপির জন্য তাদের মন কাঁদে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা দেশের জনগণকে নিয়ে ভাবে না। তারা কায়েম করতে চায় বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ, যারা বাংলাদেশের জন্মের চেতনাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি।

এসকে/ 

নির্বাচন বিএনপি ওবায়দুল কাদের

খবরটি শেয়ার করুন