শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়েটা সবসময় মসজিদে করতে চেয়েছিলাম

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৬ অপরাহ্ন, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

বিনোদন জগতের না হয়েও তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও আয়মান সাদিক ও একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষক মুনজেরিন শহীদ। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’। এই স্কুলের কারণে বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক শিক্ষার সচেতনতা তৈরি হয়।

পাশাপাশি বিনা খরচে ভালোমানের শিক্ষা উন্নত শহর থেকে একদম তূণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয় এই টেন মিনিট স্কুল। তাই তরুণ প্রজন্মের কাছে আয়মান সাদিক ও মুনজেরিন শহীদ এক পরিচিত মুখ।

এমনকি ইন্টারনেট দুনিয়ায় একটা লম্বা সময় ধরেই তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক পরিচিত এক জুটি আয়মান ও মুনজেরিন। বহুদিন ধরেই ভক্তদের কানাঘুষায় ছিল তাদের প্রেমের খবর।

কিন্তু, এই জুটি কখনোই তাদের সম্পর্ক নিয়ে বাস্তবে মুখ খোলেননি। বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা আয়োজনে আয়মানকে বরাবরই ‘ভাইয়া’ বলে সম্বোধন করতে দেখা গেছে মুনজেরিনকে। 

তাই বলে তো আর তাদের ভালোবাসায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সকল জল্পনা-কল্পনা, গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে বিয়ে করেছেন তারা। 

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের মসজিদে তাদের আকদ সম্পন্ন হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্যরা ও আয়মান-মুনজেরিনের ঘনিষ্ঠজনরা। 

বিয়ের খবর শুরু থেকেই অনেকটা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন এই তারকা জুটি। কয়েকদিন আগেই তাদের বিয়ের একটি কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও আয়মান-মুনজেরিন নিশ্চুপই ছিলেন পুরো সময়জুড়ে।

তবে শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে সেই খবর শেয়ার করে নিয়েছেন এই নবদম্পতি।

শুক্রবার মুনজেরিনের জন্য পুরোপুরি ভিন্ন একটা দিন ছিল। তার ভাষায়, জীবনে কত ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু এরকম কিছুর জন্য কি সত্যিই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল?

মুনজেরিন বললেন, ‘আমরা বিয়েটা সবসময় মসজিদেই করতে চেয়েছিলাম। এই সিম্পলিসিটি, শান্ত পরিবেশ সবকিছুই কল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এই নার্ভাসনেস কখনোই কল্পনা করিনি।’

আরো পড়ুন: ঢাকাই জামদানি কলকাতায় লাখ টাকা হাকাচ্ছেন অভিনেত্রী

একই চিত্র ছিল আয়মানের ক্ষেত্রেও। বিয়ের রেজিষ্ট্রি খাতায় সাইন করতে গিয়ে হাত কেঁপেছিল টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার। আয়মানের ভাষায়, জীবনে অনেক সাইন করেছি। কিন্তু কখনো হাত কাঁপেনি।

আকদ সম্পন্নের পর আয়মান বললেন, ‘এই অনুভূতিটা নতুন। একটু অদ্ভুত।’ এরপর মুনজেরিনকে উদ্দেশ্ করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘জীবনের নতুন এক যাত্রা, ভয় পাচ্ছো?

স্ত্রীর সরল উত্তর, ‘নাহহহ, এক্সাইটেড (হাসি)।’ মুনজেরিনের হাসিতে আয়মানও বলে উঠলেন, ‘লেটস ডু দিজ পার্টনার’। 

এসি/ আই. কে. জে/ 


মসজিদ বিয়ে

খবরটি শেয়ার করুন