ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তেজপুর রাষ্ট্রভাষা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী সীমা ঠাকুর শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং দ
রিদ্র পরিবারের একজন হয়েও প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, দারিদ্রতা কিংবা শারীরিক অক্ষমতা কোনও সৃজনশীল কাজের পথে বাধা হতে পারে না।"অনুস্মৃতিঃ এক আত্মকথা" তার রচিত প্রথম আত্মজীবনীমূলক রচনা। হুইলচেয়ারে বসা সীমা ঠাকুর মহাভৈরব বাজারে এক পানের দোকানে বসেন এবং পরিবারের জন্য উপার্জন করেন, তারই কাহিনি এই অনুস্মৃতি। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি, ড. অনন্ত নাথ এবং তেজপুর হিন্দি সাহিত্য সম্মেলনের প্রাক্তন সভাপতি গত সোমবারে তেজপুর রাষ্ট্রভাষা বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে বইটির উদ্বোধন করা হয়।
বইটি উন্মোচনকালে ড. অনন্ত নাথ আত্মজীবনীমূলক লেখার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আত্মজীবনীমূলক বই লেখা সবচেয়ে কঠিন কাজ। তিনি সীমাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন সীমা অনেকের জন্যেই অনুপ্রেরণাস্বরূপ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তেজপুরের এমএলএ পৃথ্বীরাজ রাভা৷ তিনি বিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদেরকে সীমার লেখা বই পড়ার অনুরোধ জানান। তিনি সীমাকে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাসও দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এমট্রনের ভাইস চেয়ারম্যান, ঋতুবরণ শর্মা সীমার মতো সৃজনশীল কাজে এগিয়ে আসার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সোনিতপুর জেলা সাহিত্য সভার সভাপতি, ড. ভূপেন সাইকিয়া, সীমার ইচ্ছাশক্তির প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেজপুর রাষ্ট্রভাষা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন কমিটির সভাপতি, সুরেশ সিরোহিয়া এবং অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক, পঙ্কজ বড়ুয়া।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেজপুর সাহিত্য সভার সভাপতি রমেশ চন্দ্র কলিতা, মুখ্য সচিব মৃদুল কুমার বোরা সহ অনেকেই। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কান্দুলনা।
আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন