প্রতীকী ছবি
ভারতের রয়েল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগ, আসামের গড়ভাঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্টে অবস্থিত আসাম (ভোরেলি) এংলিং এবং এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ ও পদযাত্রার আয়োজন করে। ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির চেতনার ('বসুধৈব কুটুম্বকম' এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত) ব্যাপ্তি ঘটাতে এবং ধরিত্রী দিবস উদযাপন করতে এই আয়োজন করে তারা।
এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি, দীপাঞ্জল ডেকা এই আয়োজনে অংশ নেন এবং গড়ভাঙ্গা ইকোসিস্টেমের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।
ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ড. প্রণামি ভট্টাচার্য এই আয়োজনের মূলে ছিলেন।
প্রণামি ভট্টাচার্য এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, সানিয়া ওয়াহিদসহ আরো ২৬ জন ছাত্রছাত্রী এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
প্রথমে ছাত্র দীপক ছেত্রীর ডিজাইনে করা ব্যাজ বিতরণ করা হয় ছাত্রছাত্রী এবং উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে। তারপর ড. প্রণামি ভট্টাচার্য নৃতত্ত্ব বিষয়ে একটি বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্য শেষে সবাই মিলে ৬.৭ কি.মি. ট্র্যাকিংয়ে অংশ নেন এবং অবশেষে দীপাঞ্জল ডেকা সবাইকে রিজার্ভ ফরেস্টের সংরক্ষিত পাখি এবং উদ্ভিদ প্রজাতি সম্পর্কে ধারণা দেন।
ট্র্যাকিং এসে শেষ হয় আসামের পারিজাত একাডেমিতে। পারিজাত একাডেমি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক বিদ্যালয়। এক জোড়া ডেস্ক, বেঞ্চ এবং চারজন শিশুকে নিয়ে এ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এখানে ৫০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিনামূল্যে শিক্ষাপ্রদান করে এই বিদ্যালয় দরিদ্র পিতা মাতার স্বপ্ন পূরণ করছে এবং শিশুদের ইতিবাচক গুণাবলি বিকাশে সাহায্য করছে। ফুলের নাম থেকে এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাচ্ছেন সৌদি নারী
বাঁশের তৈরি ছোট ছোট কক্ষ দিয়ে তৈরি এই বিদ্যালয়। আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রায় ৩৫ জন শিক্ষার্থী এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তে বসে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই এখানকার হোস্টেলে থাকতে উঠে। এ জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকায়, সন্ধ্যার পরে তাদের জন্য অধ্যয়ন করা অসম্ভব হয়ে উঠে। তবে কিছু দান করা সৌর টেবিল ল্যাম্প তাদের সন্ধ্যার পর পড়াশুনা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
আরজিইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পারিজাতের ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পাঠ্যক্রম, পরিবেশ ও প্রকৃতি এবং সঙ্গীত ইত্যাদি নানা বিষয়ে পাঠদান করে।
তারা পারিজাতের কাছাকাছি স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে। এ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করে পারিজাতের শিশুরা। শিশুরা তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা চারাগুলোর দেখভাল করবে।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন