ছবি-সংগৃহীত
ভূমিকম্প-এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে একটি অঘোষিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতি বছরই বড় বড় ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অনেক দেশ। তবুও এখন পর্যন্ত এর পূর্বাভাস পাওয়ার কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বাধ্য হয়ে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানতে এবার পশুপাখির আচরণ নিয়ে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। এখন প্রশ্ন হলো, ভূমিকম্পের আলামত কি আগেই টের পায় পশুপাখি?
পশুপাখি অনেক কিছুই আগে থেকে টের পায়। অনেকের বিশ্বাস, বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে পশুপাখি বিষয়টি বুঝতে পারে। এজন্য বড় কোনো বিপর্যয়ের আগে পশুপাখির মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু পশুপাখি কী সত্যিই ভূমিকম্পের আভাস দিতে পারে বা বুঝতে পারে?
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্পের আগে প্রাণিদের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণের প্রথম নথিভুক্ত সময় হচ্ছে ৩৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
ওই সময়ে একটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের কয়েক দিন আগে ইঁদুর, বেজি জাতীয় প্রাণি, সাপ এবং সেন্টিপিডস তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিল।
ভূমিকম্পের কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক সেকেন্ড আগে পর্যন্ত কোথাও প্রাণি, মাছ, পাখি, সরীসৃপ এবং কীটপতঙ্গের ক্ষেত্রে অদ্ভুত আচরণ প্রদর্শন করার আশ্চর্যজনক প্রমাণ রয়েছে। যাইহোক, সিসমিক ইভেন্টের আগে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য আচরণ এবং এটি কীভাবে কাজ করতে পারে তা ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়া এখনও আমাদের ভাবায়। এই রহস্য ভেদ করতে চীন বা জাপানের বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন: যেসব মূল্যবান রত্নপাথর গহনায় ব্যবহৃত হয়
কয়েক দশক আগে চীনে ছোট ছোট ভূমিকম্প এবং প্রাণিদের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে একটি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী, অনেকেই বাড়ির বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।
কিন্তু বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে এ ধরনের সিসমিক অ্যাক্টিভিটি খুব একটা অনুসরণ করা হয় না। আর বেশির ভাগ ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রিম ঘটনা পরম্পরা থাকে না।
এজন্য ইউএসজিএস স্বল্প মেয়াদে পূর্বাভাস দেওয়ার পরিবর্তে ভূমিকম্পের দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অবকাঠামোগত উন্নত করার ব্যাপারে সহায়তা করে থাকে। যাতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
এসি/ আই.কে.জে