শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী আজ। সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দেবীর মহা অষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়েছে। অষ্টমীর মূল আয়োজন কুমারী পূজা এবং সন্ধিপূজা। বেলা ১১টায় গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মাঠে শুরু হয়েছে কুমারী পূজা। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হবে সন্ধিপূজা।
মহা অষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ১৬টি উপকরণ দিয়ে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহা অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
কুমারী পূজা ছাড়াও আজ মহা অষ্টমীতে রাজধানীর শাঁখারী বাজার, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ সারা দেশে বিভিন্ন মন্দিরে বেলা ১টার পর থেকে দিনভর প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
এদিকে আজ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব। এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় মণ্ডপ ২৪৬টি।
এদিকে, গতকাল শঙ্খ, উলুধ্বনি, কাঁসর ঘণ্টা ও ঢাকের তালে সারা দেশে উদযাপন করা হয়েছে মহাসপ্তমী। অশুভের বিনাশ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শুভ শক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহাসপ্তমীর দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শ্রীশ্রী যমুনামাঈ আশ্রম ও মন্দির, স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, ধানমণ্ডি কলাবাগান মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, বাংলাবাজার পূজা কমিটি, নর্থব্রুক হল রোড, প্রতিদ্বন্দ্বী পূজামণ্ডপ, তাঁতীবাজার পূজা কমিটি, শঙ্ঘমিত্র শাঁখারীবাজার, পাণিটোলা, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটি, হাজারীবাগ সুইপার কলোনি, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, আজিমপুর সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, বনানী পূজামণ্ডপ, গৌতমমন্দির, ভোলাগিরি আশ্রমসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা আরতিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আই. কে. জে/