সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা হতে চাইলে বদল আনুন কিছু অভ্যাসে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৫ অপরাহ্ন, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহিত

অনেক নারী পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, মানসিক প্রস্তুতির কথা ভেবে বর্তমানে  ৩০ এর আগে বিয়েতে জড়াতে চান না। ৩০ পেরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। এরপর ভাবেন সন্তান ধারণের কথা। তবে শরীর সবসময় সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নেয় না। ৩৫ এর পর নারীদের শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। মা হওয়ার বিষয়টি তখন কিছুটা জটিল হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। 

বয়স ৩০ পেরোনোর পরে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের মতে, ৩০-এর পর মা হতে চাইলে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। কেননা, এ সময়ের পর থেকে সন্তানধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। মা হওয়ার পরিকল্পনা করার আগে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন, জানুন- 

বাড়তি ওজন ঝরান

ওজনের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সরাসরি কোনো যোগসূত্র নেই। তবে ওজন বেশি হওয়ায় শরীরে অনেক রোগব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে। বাড়তি ওজন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। আর এসব রোগ থাকলে ভ্রূণের ক্ষতি হয়। তাই মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে আগে মেদ ঝরাতে হবে। 

অতিরিক্ত শরীরচর্চা নয়

ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও ভারী শরীরচর্চা এসময় এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত শরীরচর্চা গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভারী ব্যায়াম নারীদের পিরিয়ড সার্কেলের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে গিয়ে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। যা গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ওজন কমানোর জন্য কতখানি শরীরচর্চা করা নিরাপদ হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুন : ডায়াপার থেকে শিশুর র‌্যাশ উঠছে? কী করবেন জেনে নিন

গর্ভনিরোধক ওষুধ বন্ধ

অনেকেই নিয়মিত গর্ভনিরোধক ওষুধ খান। এই ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার পরও শরীরের স্বাভাবিক ঋতুচক্রে ফিরতে সময় লাগে। অন্তত মাস তিনেক সময় লাগতেই পারে। সেভাবেই পরিকল্পনা করুন। সন্তান গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার অন্তত ৩ মাস আগে থেকেই গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।

ধূমপান ছাড়ুন

আপনার কি ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে? এই অভ্যাস কিন্তু বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত ধূমপান করলে ডিম্বাণু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেবল নারীদের ক্ষেত্রেই নয়, ধূমপানের অভ্যাস পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। সে সঙ্গে ছাড়ুন মদ্যপানের অভ্যাসও। 

মিলনের সময় খেয়াল রাখুন 

কীভাবে মিলিত হচ্ছেন, এই ব্যাপারটিও সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকেই শারীরিক মিলন নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসেন। সন্তান ধারণের ইচ্ছা থাকলে সে সব না করাই ভাল। কী ধরনের মিলনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে বিষয়ে একজন গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। 

এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে সন্তান ধারণ করার প্রক্রিয়াটি সহজ হবে আপনার জন্য।

এস/ আই. কে. জে/ 

অভ্যাস সন্তানধারণ

খবরটি শেয়ার করুন