ছবি: সংগৃহীত
কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ঘরের বাইরে পা দিতেই বরফে জমে গেল তরুণীর চুল। তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রির নিচে, চারদিকে জমে আছে বরফের স্তূপ। প্রচণ্ড এই শীতের মাঝেই খোলা চুলে বাইরে বের হয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু বরফের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একপর্যায়ে বরফে তার মাথা ঢেকে যায়, জমে যায় চুল।
জমে যাওয়া চুলের একটি ভিডিও তিনি পোস্টও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে সুইডেনে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে থাকার সময় বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। আর তখনই চুল জমে যায় তার।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, সুইডেনের উত্তরাঞ্চলে এই মুহূর্তে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের বেশ নিচে। ভাইরাল ভিডিওটি যখন ধারণ করা হয়েছে, তখন সেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে (মাইনাস ৩০ ডিগ্রি) ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
কনকনে ঠান্ডায় চুল জমে যাওয়া ওই তরুণীর নাম এলভিরা লুন্ডগ্রেন। সুইডিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তরুণী জানিয়েছেন, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে নেমে গেছে শুনেই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। মূলত বাইরে বের হলে কী হয়, সেটিই দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঠান্ডায় জমে যাওয়া চুল মাথার ওপরে মুকুটের মতো তুলে ধরেছেন ওই তরুণী। এছাড়া বার বার চুল ওপরে তুলে এবং নিচে নামিয়ে দেখাচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভুল স্বীকার করে বোয়িংয়ের বিবৃতি
অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ঠান্ডায় তরুণীর চুলের অবস্থা দেখে বেশ মজা পেয়েছেন। অনেকে আবার এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় যথেষ্ট প্রস্তুতি এবং সুরক্ষা ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার বিরোধিতাও করেছেন। এতে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে দাবি তাদের।
উল্লেখ্য, সুইডেনে গত ২৫ বছরের মধ্যে জানুয়ারির শীতলতম রাত ছিল গত বুধবার। সেদিন দেশটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৪৩.৬ ডিগ্রি নিচে।
আর ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে সুইডেনে মাইনাস ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৫৬.২ ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
সূত্র: এনডিটিভি
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন
