শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চীনের প্রতি নীরব থাকা অস্ট্রেলিয়ার দ্বিমুখীতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়ে ইরান এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে চায় অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে শুধু অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বলে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নীরবতা পালন করছে অস্ট্রেলিয়া। এটা তাদের দ্বিমুখী স্বভাব- বলে মন্তব্য করেছেন তিব্বতের নির্বাসিত এক রাজনৈতিক নেতা, পেনপা সেরিং।

২০২১ সালে তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর পেনপা সেরিং তার প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি এন্টনি আলবানিজকে অনুরোধ করেন যেন বছরের শেষের দিকে আলবানিজ যখন চীন সফরে যাবেন তখন যেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে মানবাধিকার এর বিষয়ে কথা বলেন। তিব্বত এবং জিনজিয়াং এর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চীনা সেনাবাহিনীর অত্যাচারের কথা উত্থাপন করার জন্যেও অনুরোধ জানান তিনি।

তিব্বতি শিশুদেরকে জোরপূর্বক তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টিকে অস্ট্রেলিয়ার অতীত ইতিহাসের সাথে তুলনা করে সেরিং বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সংখ্যালঘুদের নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে মেতেছেন।

সেরিং মঙ্গলবার ক্যানবেরার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাষণ দেবেন। এতে চীনের মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে এ আশংকায় চীন অনেক চেষ্টা করেছে এ ভাষণ আটকাবার।

এ ব্যাপারে সেরিং বলেন, সমালোচনার মাধ্যমেই চীন তার এ ভাষণের প্রচার করে দিচ্ছে। এমন প্রচারণা হয়তো কাউকে অর্থ দিয়ে নিয়োগ করলেও পাওয়া যেতো না।

অস্ট্রেলিয়াকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সৎ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আলবেনিজ সরকার গত বছর রাশিয়া, ইরান এবং মায়ানমারের কর্মকর্তাদের উপর ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও চীনের জন্য এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় নি। 

এ ধরনের আচরণকে অন্যায় বলে অভিহিত করে সেরিং বলেন সরকারি নীতি সকল দেশের জন্যেই সমান হওয়া উচিত।

ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা সরকারকে ভিসা প্রত্যাহার করতে, ভ্রমণ নিষিদ্ধ করতে এবং অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদ লুকানোর চেষ্টা করতে পারে এমন ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয়।

অস্ট্রেলিয়া মধ্যম একটি শক্তি যা বড় এবং ক্ষুদ্র উভয় শক্তির সাথেই কাজ করতে সক্ষম।

তিনি অস্ট্রেলিয়াকে চীনের সাথে জড়িত হতে নিষেধ করছেন না কিন্তু তাদেরকে চীনের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক রাখার পরামর্শ প্রদান করছেন। চীন তিব্বত এবং জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।

আরো পড়ুন: চীনের বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে হুমকির মুখে ভারতের সার্বভৌমত্ব

জাতিসংঘের তিনজন বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে সতর্ক করে বলেন যে, প্রায় ১০ লাখ তিব্বতি শিশুকে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে তিব্বতি সংস্কৃতিকে নির্মূলে বিনষ্ট করতে চাইছে চীন।

সেরিং বলেন, ১৯১০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় যে শিশুচুরির নীতি ছিল সে নীতিই অনুসরণ করছে চীন। এসব কিছুর মাধ্যমে তিব্বতের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ভাষাকে ধ্বংস করতে চাইছে চীন।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘন চীন অস্ট্রেলিয়া তিব্বতের সংস্কৃতি তিব্বতের ধর্ম

খবরটি শেয়ার করুন