শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩

মালিকানাধীন কৃষি জমির পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৮:২০ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩

#

সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয় করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন

যদি কারো ৬০ বিঘা কৃষি জমি থাকে তাহলে নতুন করে আর মালিকানা নিতে পারবেন না। এমন বিধান রেখে ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  

সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের সামরিক শাসনামলে যে আইনগুলো ছিল সেগুলো প্রয়োজন অনুসারে বাতিল করে নতুন আইন করতে বলা হয়েছিল। আমাদের ল্যান্ড রিফর্ম অধ্যাদেশ ১৯৮৪ ছিলো, সেটিকে সংশোধন করে নতুন করে ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ এর খসড়া ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেটি আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

৬০ বিঘার চেয়ে যারা অনেক বেশির সম্পত্তির মালিক তাদের ক্ষেত্রে কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি এরকম কেউ থাকে এবং যদি কেউ সে আইনের আওতায় মামলা করেন তাহলে নতুন আইনে যে শাস্তির বিধান আছে সেটিই হবে।

তিনি বলেন, আইনেতো সে বিষয়ে বলা থাকে না। আইনে বলা আছে, যদি কেউ ৬০ বিঘার বেশি জমি নতুন করে কেনেন তখন ঐ অংশটা সরকারের নজরে আসলে সরকার সেটা নিয়ে নিতে পারবেন।  

তিনি বলেন, এই আইনে আগে যে ল্যান্ড রিফর্ম অধ্যাদেশ ছিল সেখানে যে ধারাগুলো ছিল সে ধারাগুলো পরিবর্তন করে কয়েকটি জায়গায় সামান্য তারা কিছু আপডেট করেছেন। যেমন, ওই আইনে ছিল ৬০ বিঘার বেশি কোন ব্যক্তি কৃষি জমির মালিক থাকতে পারবে না। এখানে বলা হয়েছে যে, বিশেষ ক্ষেত্রে এটি শিথিলযোগ্য। সে বিষয়গুলো এখানে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কোনো সমবায় সমিতির সকল সদস্য তাদের জমির মালিকানা যদি সমিতি অনুমতি দেয় তখন সেটি হতে পারে। চা, কপি, রাবার, অন্যকোন ফলের বাগানে ব্যবহৃত জমির জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নিজস্ব কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য যদি কোনো ভূমি ব্যবহার করতে চায় তখন এটা প্রযোজ্য হবে না। 

এছাড়া রপ্তানিমুখী শিল্প, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করণের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তখন প্রযোজ্য হবে না। ওয়াকফ, দেবোত্তর বা ধর্মীয় ট্রাস্টের ক্ষেত্রে উহার মালিকানাধীন ভূমির আয় ধর্মীয় কাজে ব্যবহার হয় এ কয়টা বিষয় সংযোজন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, আইনে যে ধারাটা সংযোজন করা হয়েছে সেটা হলো এই যে আপনার ৬০ এর অধিক, আপনি নতুন কোনো মালিকানা নিতে পারবেন না। বলা হয় নাই এখানে ৬০ বিঘার বেশি থাকলে আপনাকে ছেড়ে দেবে। যদি আপনার ৬০ বিঘা কৃষি জমি থাকে তাহলে নতুন করে আর মালিকানা নিতে পারবেন না। সেটা আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে হোক বা নিজের কেনা হোক। ৬০ বিঘার বেশি আপনি আর মালিকানা নিতে পারবেন না।

এছাড়া বৈঠকে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

এসকে/ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ ৬০ বিঘা কৃষি জমি মন্ত্রিসভা বৈঠক

খবরটি শেয়ার করুন