শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

আমাকে দেখে ‘যথার্থ আদিবাসী’ মনে হতো : মিঠুন

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১৫ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

যে গাত্রবর্ণের জন্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, সেই অনুজ্জ্বল ত্বকের জন্যই জীবন বদলে গিয়েছিল বাংলার মিঠুন চক্রবর্তীর। সৌজন্যে পরিচালক মৃণাল সেন। মৃণাল পরিচালিত ‘মৃগয়া’ (১৯৭৬) দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু হয় মিঠুনের। এর পর ‘ডিস্কো ডান্সার’ (১৯৮২) ছবিটি মিঠুন চক্রবর্তীর পায়ের তলার মাটি শক্ত করে বলিউডে। পরিচালক মৃণালের জন্মবার্ষিকীতে মিঠুন ফিরে দেখলেন কেরিয়ারের উজ্জ্বল স্মৃতি।

বলিউডের অন্য অনেক হিরোর মতো গায়ের রং ফর্সা ছিল না মিঠুনের। শ্যামবর্ণ, অনুজ্জ্বল চেহারার দিকে নজর না দিয়ে দর্শক যেন পর্দায় মন দেন তাঁর নাচ এবং অ্যাকশনধর্মী কার্যকলাপে— সেই বাসনায় মিঠুন ধারালো করছিলেন নিজের অন্যান্য দক্ষতা। পরে অবশ্য অনুজ্জ্বল গাত্রবর্ণই তাঁকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

একটা সময় ভেবেছিলেন, অনুজ্জ্বল গায়ের রং নিয়ে ফর্সা, দেখতে সুন্দর নায়কদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মুশকিল। এমনকি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করবেন বলেও ভেবেছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, “এই গায়ের রং নিয়ে আমার মধ্যে হীনমন্যতাও ছিল। ভেবেছিলাম, ত্বকের রং তো আর বদলাতে পারব না, কিন্তু খলনায়কের চরিত্র তো করতে পারি। আমি ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলাম, খুব ভাল প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখান থেকে ফিরি।”

মিঠুনের কথায়, “ভেবেছিলাম, আমি তো ভাল নাচতে পারি, মারামারির দৃশ্যেও সাবলীল। চেয়েছিলাম, দর্শক আমার গায়ের রঙের দিকে নজর না দিয়ে এই দিকে দেখুক। করেওছিলাম সেটাই। একেবারে নিজস্ব একটা নাচের স্টাইল তৈরি করেছিলাম।”

‘মৃগয়া’ ছবিতে তাঁর চরিত্রের জন্য অনুজ্জ্বল গায়ের রংই প্রয়োজন ছিল। অভিনেতা মজা করে বলেছিলেন, “মৃণালদা আমাকে নিয়েছিলেন, কারণ আমাকে দেখে ‘যথার্থ আদিবাসী’ মনে হত।” এই ছবি সমালোচকদের সাধুবাদ পায়, মিঠুন পান জাতীয় পুরস্কার।

আরো পড়ুন: শাকিব-বুবলী ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

এর পর মিঠুন বলিউডে অনেক ছবি করতে থাকেন, আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তাঁর কথায়, “‘সুরক্ষা’ (১৯৮১)-র পর বুঝলাম, ঠিক পথেই রয়েছি। এখন আমায় অনেকটা পথ যেতে হবে, এই গায়ের রংটা গ্রহণযোগ্য করে তোলা কঠিন কাজ।” তিনি জানান, শুরুর দিকে উত্তরে তাঁর ছবি চলত না। আস্তে আস্তে দিন বদলায়। তিনি হয়ে ওঠেন আকর্ষণীয় অনুজ্জ্বল চেহারার ‘বাঙালিবাবু’।

মিঠুনের কথায়, “আমার গায়ের রংটাই হয়ে ওঠে আমার ইউএসপি।”

তবে, মিঠুন চান না তাঁর জীবনীচিত্র হোক। এত লড়াই, এত প্রত্যাখ্যানের কাহিনি উদীয়মান অভিনেতাদের মন ভেঙে দেবে বলেই মনে করেন তিনি।

এসি/ আইকেজে 

মৃণাল আদিবাসী মিঠুন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250