শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু পরোয়ানাও বঙ্গবন্ধুকে টলাতে পারেনি: মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:২২ অপরাহ্ন, ২৬শে আগস্ট ২০২৩

#

বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বেসিস আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহিত

পাকিস্তানি শাসকদের লোভ, লালসা, হুমকি, চোখ রাঙানি, মৃত্যু পরোয়ানা কোন কিছুই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের পথ থেকে টলাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

তিনি বলেন, “১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালেও  বিমানবন্দরে জুলফিকার আলী ভূ্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব করে বঙ্গবন্ধুর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু  বঙ্গবন্ধু তার জনগণের স্বার্থবিরোধী কোন প্রস্তাবই মেনে নিবেন না বলে ভূট্টো সাহেবকে সাফ জানিয়ে দেন। কোন পরিস্থিতিতেই  বঙ্গবন্ধু আপন নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে বিচ্যুত হননি।”

বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বেসিস আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা, আটষট্টির আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের ভূমিকা তুলে ধরেন। 

মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ সম্মান। ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সাড়ে উনিশ বছরের শাসনামলে ডিজিটাল কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে কাজ করতে হবে।”

সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং নাট্যকার রেজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।

অসীম কুমার উকিল সাংস্কৃতিক  আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানানোর বিকল্প নেই।”

ইমদাদুল হক মিলন বলেন,  “বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিয়ে ভালোবাসেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখার মতো গর্ব করার বিষয় আর কিছু হতে পারে না।”

সভায় বক্তব্যের আগে ইমদাদুল হক মিলনের গল্প অবলম্বনে রেজানুর রহমানের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় মঞ্চ নাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ মঞ্চায়িত হয়। এথিকস নাট্যদলের পরিবেশনায় নাটকটিতে ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি এ দেশের মানুষের ভালবাসার চিত্র  উঠে  আসে।

এম.এস.এইচ/ 

মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধু

খবরটি শেয়ার করুন