রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

মোখায় মিয়ানমারে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কত?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:২১ অপরাহ্ন, ২১শে মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা। মোখার তাণ্ডবের এক সপ্তাহ পর সেই বিবৃতিতে পরিবর্তন এনেছে তারা। সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে জান্তা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৯১ জনই রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু। তারা রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্যে ২৪ জন স্থানীয় এবং ১১৭ জন রোহিঙ্গা। নিহতদের তালিকায় চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন।

তবে জান্তার এ দাবি যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম। প্রকৃত নিহতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। মোখায় রাখাইন প্রদেশে মৃতের সংখ্যা চার শতাধিক বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন সেখানের কয়েকজন বাসিন্দা।  

তারা জানিয়েছেন, মোখা চলে যাওয়ার পর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে ৪ শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ।  

রোহিঙ্গা গ্রামের একজন নেতা এএফপিকে বলেছিলেন, ঝড়ের পর শুধু তার গ্রাম থেকেই ১০০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

ঝড়ের পর রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছাকাছি এলাকার আরেক রোহিঙ্গা নেতা এএফপিকে বলেছিলেন, শহরের আশপাশে কমপক্ষে ১০৫ জন রোহিঙ্গা মারা গেছেন, এ সংখ্যা আরও বাড়বে। গণনা এখনও চলছে।

গত শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টিতে মিয়ানমারে অন্তত ৮ লাখ মানুষকে জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার প্রয়োজনে ফেলেছে।

আরো পড়ুন: একসঙ্গে ৫৮০০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে যে পাহাড়ী রেস্টুরেন্টে

ডব্লিউএফপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপ-পরিচালক অ্যান্থিয়া ওয়েব সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি এতোই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে, লাখ লাখ লোকের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতে লড়াই করছে তারা।

বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ১৩ মে  মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গতিবেগঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। এতে ঝড়-বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতওয়েসহ বিভিন্ন অঞ্চল। ভূমিধস ঘটে, গাছ উপড়ে পড়ে, ভবন ধসে পড়ে এবং রাস্তাগুলো ভেঙে যায়।

তথ্যসূত্র: ফ্রান্স২৪

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

মোখা মিয়ানমার মৃত্যু জান্তা সরকার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250