ভারতের নয়দিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতের যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা প্রদর্শিত করার লক্ষ্যে প্যাভিলিয়নে ‘যুগলবন্দি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
যুগলবন্দি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে এমন একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে চ্যাট জিপিটি এবং ভারতের ভাষা অনুবাদক মডেল ‘ভাষিণী’র মাধ্যমে যেকোন ধরনের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উচ্চমাত্রার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ডিভাইসটি ভারতের ৫০ টি ভাষা জানে। এর মাধ্যমে যেকোন ধরনের ভাষাগত জটিলতাই কাটানো সম্ভব।
ইতিমধ্যেই যুগলবন্দিকে হোয়াট্সএপ এবং টেলিগ্রামে স্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে যেকেউ ১০ টি ভারতীয় ভাষায় ১২১ টি সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারবে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে যেকোন আইনি তথ্য গ্রহণ করতে পারবে যেকেউ।
তাছাড়া যুগলবন্দি ব্যবহার করে যেন মানুষ স্বাস্থ্যসেবাও গ্রহণ করতে পারে সে চেষ্টাও করা হচ্ছে।
যুগলবন্দির লক্ষ্য হলো ভারতীয় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষার জন্য যে সমস্যাগুলো দেখা যায় তা সমাধান করা এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষদের একত্রে নিয়ে আসা।
ভাষিণীর লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাকে একত্রিত করে মানুষের উপকার করা। এটি স্থানীয় ভাষায় ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল পরিষেবাগুলো চালাতেও সাহায্য করবে।
এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিতে পৃথক ভাষাদান বিভাগও রয়েছে যার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের দ্বারাই মানুষ বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং শিখতে পারবে।
এসকে/ এএম/
খবরটি শেয়ার করুন