বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা *** গোপালগঞ্জে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর *** বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের শুল্ক ১৫ শতাংশে নামাল দ. কোরিয়া *** মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরেই নির্বাচন *** শেখ হাসিনা আমলের নির্যাতনের অবসান, তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন অব্যাহত: এইচআরডব্লিউ *** খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, ৫ কোটি টাকা জব্দ করল সিআইডি *** আগামী ৫-৬ দিন খুবই ক্রুশিয়াল, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে: শফিকুল আলম

যে আমলে দীর্ঘ হয় মানুষের হায়াত

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৪ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

দীর্ঘ হায়াত পাওয়া একটি বড় নেয়ামত। কেননা মুমিন ব্যক্তির হায়াত বেশি হলে অনেক নেক আমল যোগ হয়। ইসলামে এমন কিছু সহজ আমল আছে, যার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। তন্মধ্যে দীর্ঘ হায়াত পাওয়াও একটি। এমন কি আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে দীর্ঘ হায়াত পাওয়া যাবে?

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের আমল। কোরআন-সুন্নাহর একাধিক জায়গায় এ সম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখলেও মানুষ দীর্ঘ হায়াত পায়। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং দীর্ঘ হায়াত পাক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।‘ (বুখারি ৫৯৮৫, মুসলিম ৪৬৩৯)

এ কারণেই দৈনন্দিন জীবনে ওঠা-বসা, চলাফেরা, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখা জরুরি। তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা, তাদের সঙ্গে আন্তরিক হওয়া ও আত্মীয়-স্বজনকে দয়া-মায়া দেখানোই হলো সুসম্পর্ক। এই সুসম্পর্ক রক্ষাকারী প্রকৃতপক্ষে কারা, তাদেরকেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে হাদিসে। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ...নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী নয়। বরং আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী সে ব্যক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হবার পরও তা বজায় রাখে।’ (বুখারি: ৫৯৯১)

অর্থাৎ সে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী নয়, যে সম্পর্ক রক্ষার বিনিময়ে সম্পর্ক রক্ষা করে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী সেই ব্যক্তি, যার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরলে সে তা জোড়া দেয়।

এ জন্য নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হলো-

‘...আর আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে থাকো এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।’ (সুরা নিসা: আয়াত ০১)

আরো পড়ুন: অন্য আরো যে সকল রোজা আপনি রাখতে পারেন

সুতরাং সবার উচিত, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা। হাদিসের ওপর আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের হায়াত ও রিজিক বৃদ্ধিতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন।

আমিন।

এম/


 

আমল মানুষ হায়াত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন