রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাঙালির চেতনা-মননের প্রধান প্রতিনিধি: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২২ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি আঙিনায় শুরু হয়েছে তিনদিনের রবীন্দ্রমেলা ও আলোচনা অনুষ্ঠান।

সোমবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, রবীন্দ্র গবেষক ও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য দেন।

এসময় হানিফ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তার সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্বকবির কুঠিবাড়ী, কাচারিবাড়িসহ তার সব স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার অব্যাহত আছে।

এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্রমেলাকে ঘিরে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আঙিনা হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বিশ্বকবির ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ির মূলমঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা কুঠিবাড়ির মূলমঞ্চে রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য পরিবেশন ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক মঞ্চস্থ করবেন।

এদিকে, রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীতে কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরো পড়ুন: উন্নত জাতের নওগাঁর আম পাওয়া যাবে ২২ মে থেকে

জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়া তিনি এখানে বসেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।

এম/


 

রবীন্দ্রনাথ বাঙালি চেতনা মনন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন