ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলায় এবার উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন আম। যা দেশের সুস্বাদু আমের ৭০ ভাগ। বাণিজ্যের আশা সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশে রফতানির টার্গেট আড়াই হাজার মেট্রিক টন। সরবরাহ বাড়ায় বিগত বছরগুলোর মতো কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বাগান মালিকরা। তবে বাড়তি ফলনের কারণে লাভের মুখ দেখছেন তারা।
গেল মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, আষাঢ়ের শেষ দিকেও জমজমাট রাজশাহীর বানেশ্বর আম বাজার। একই চিত্র নওগাঁর সাপাহার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কানসাট আম বাজারের। এদিন বানেশ্বর বাজারে মানভেদে প্রতিমণ আম রূপালী সর্বোচ্চ ২ হাজার ২শ’, ফজলি ১ হাজার ৪শ’, বারী দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে আম রূপালী রাজশাহীর তুলনায় জাতভেদে গড়ে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুকুল আলী নামে এক আম চাষি জানান, শেষ সময়ে বাজারে আমের দর ভালো। দাম কিছুটা বাড়তি। আম বাগানি তুষার বলেন, গেল বারের তুলনায় দাম কম। কিন্তু বাড়তি ফলনে লাভ হচ্ছে আগের মতোই।
বাগান মালিকদের দাবি, বিগত বছরগুলোর তুলনায় দাম কিছুটা কম হলেও উৎপাদন বেশি হওয়ায় আর্থিক দিক দিয়ে পুষিয়ে যাচ্ছে তাদের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে আমের উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এতে লাভবান আম বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা।
আরো পড়ুন: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নতুন ঘাঁটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ ও নাটোরের প্রায় ৯৩ হাজার হেক্টর জমির বাগানে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আম উৎপাদন হয়েছে। প্রথমবারের মতো আড়াই হাজার মেট্রিক টন আম রফতানির পাশাপাশি সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের আশা তাদের।
এম/