কাবুল থেকে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরে জাতিসংঘের ৭৮ তম সাধারণ পরিষদে বিশ্ব নেতারা আফগান নারী ও শিশু অধিকার সম্পর্কেও আলোচনা করবেন।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে আফগান শাসক তালেবান গোষ্ঠী মেয়েদেরকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে আফগানিস্তানের এক নারী অধিবাসী গাজালা বলেন, তালেবান গোষ্ঠী তাদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। তাদেরকে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রেখেছে। আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে নারীদের অধিকারকে পদস্খলিত করেছে তালেবানরা।
তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তালেবান গোষ্ঠী তাদের অধিকার কেড়ে নিলেও অন্যান্যদের উচিত নারীদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ফলে আফগানিস্তানের দশ লাখেরও বেশি মেয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদিও স্থানীয় একটি অলাভজনক সংস্থার মতে এ সংখ্যা বিশ লাখেরও বেশি।
গাজালা বিশ্ব নেতাদের কাছে আফগান নারীদের শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। সরকারিভাবে, তালেবানরা ষষ্ঠ শ্রেণির বাইরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে।
আরো পড়ুন: হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড : ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
তবে বাস্তবতা হলো আফগান চরমপন্থী শাসকগোষ্ঠী মেয়েদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত করছে।
দুই বছর ধরে এ দেশে নারীশিক্ষা নিষিদ্ধ হলেও জাতিসংঘের নীরবতা হতাশ করেছে আফগান নারীদের। নারীদের অধিকার পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে কেউই তেমন আগ্রহী নয় বলে জানান তারা।
তালেবানরা নারীদের নার্সিং কোর্স করার অনুমতি প্রদান করলেও কট্টরপন্থী শাসকগোষ্ঠী নারী পুরুষ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হয় এমন চাকরির সুযোগ থেকে নারীদের বঞ্চিত করেছে। অর্থাৎ কোর্স সম্পন্ন করলেও চাকরির সুযোগ পাচ্ছে না নারীরা।
এসকে/ এএম/
খবরটি শেয়ার করুন