ছবি: সংগৃহীত
এখনকার সময়ে মানুষ যেখানে পছন্দ করে প্যানকেক এবং সসেজের ইংরেজি ব্রেকফাস্ট খেতে, সেখানেই তখন সমাজের একটি অংশ রয়েছে যারা এখনো ঐতিহ্যবাহী দই এবং চিড়ায় নাশতা করে।
তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যদি সকালে স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা চিন্তা করেন তবে ওটস বা কর্নফ্লেক্সের তুলনায় অনেকাংশেই এগিয়ে চিড়া। এ ছাড়া যাদের দুধ খেলে পেটে সমস্যা হয় তারা চিড়ার সঙ্গে দই মিশিয়ে খেতে পারেন।
আগের রাতে ভারী খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল হয়েছে? সকালে কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না। পেট ভার লাগছে? এমনটা হলে সকালের নাশতায় রাখতে পারেন দই-চিড়া। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে। কেননা ওটস, কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি উপকারি হলেও এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। আর যাদের ফাইবার খেলে সমস্যা হয় তারা সহজেই খেতে পারেন চিড়া। এতে থাকা ফাইবার সহজপাচ্য। শিশু থেকে বয়স্ক— সবাই এই খাবার খেতে পারেন।
চলুন জেনে নিই কেন সকালের নাশতায় চিড়া খাবেন-
যেভাবে খাবেন
চিড়া আপনাকে রান্না করে খেতে হবে না। এটি শুধুমাত্র পানিতে ধুয়ে ফেলতে হয়। পরে এর সঙ্গে দই, দুধ, চিনি, গুড় যোগ করতে হয়। এ ছাড়া কলাও যোগ করে আপনি এটি খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : বেঁচে যাওয়া টক দই ফেলে দেওয়া বোকামি
হজম করা সহজ
চিড়া সহজে হজম হয়। এটি সহজপাচ্য। দিনের প্রথম খাবার হিসাবে দই চিড়া খেলে এটি দীর্ঘ সময় আপনাকে পূর্ণ রাখে। এ ছাড়া এটি আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়।
ক্যালোরি কম
যারা সকালের নাশতায় উচ্চ শক্তি কিন্তু কম ক্যালোরি চান তাদের জন্য এটি যথার্থ খাবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বাটি দই-চিড়াতে মাত্র ৩০০ ক্যালোরি রয়েছে। পেট খারাপ সেরে যায়।চিড়া পেট খারাপ থেকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। হালকা এবং সহজপাচ্য, চিড়া হজম প্রক্রিয়াকে প্রশমিত করে এবং অন্ত্রকে শীতল করে।
আয়রন সমৃদ্ধ
চিড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। সাধারণত গর্ভবতী নারীদের চিড়া খাওয়া উচিত। কেননা চিড়া গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতার উচ্চ ঝুঁকি হ্রাস করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন