সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগরে লঘুচাপ, নিরাপদে আশ্রয়ে ফিরছে মাছ ধরার ট্রলার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩১ অপরাহ্ন, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার কয়েকশ ট্রলার। সাগরে যেতে না যেতেই সাগর উত্তাল হওয়ায় অল্প মাছ নিয়েই ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। তাই লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।

মঙ্গলবার (১ ৯সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর বড় দুটি মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর ঘাটে ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় জেলে ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, মোংলা এবং বাঁশখালিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আবহাওয়া খারাপ বলে এখানে আশ্রয় নিচ্ছেন। বন্দরে জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও কমেছে মাছ বিক্রির হাঁকডাক।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ দিন আগেও সমুদ্র উত্তাল ছিল এরপর গতকাল থেকে আবার আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। এর আগে গত ২৩ জুলাই ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পরে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ থেকে ১০ বার আবহাওয়া খারাপ হয়। এতে একদিকে লোকসানের মুখে পড়ছে তাঁরা অন্য দিকে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্য পেশা।

এফভি আব্দুল্লাহ ট্রলারের মাঝি বলেন, গত তিনদিন আগে আমরা বরগুনার পাথরঘাটা থেকে মাছ ধরতে যাই। গতকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ হয় আজকে সকালে আলিপুর বন্দরে এসে পৌঁছাই। আড়াই লাখ টাকার বাজার নিয়ে সমুদ্রে যাই কিন্তু যে মাছ পেয়েছি তার দাম হবে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। পুরো বছরে আমরা দশবার সমুদ্র গেলে একবার লাভ করতে পারি বাকি নয়বার আমাদের লস হচ্ছে।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানের জেলেরা এই বন্দরে আশ্রয় নিচ্ছে। বছরে বেশ কয়েকবার আবহাওয়ার বৈরিতায় আমরা মৎস্য পেশা নিয়ে হুমকিতে। তাই জেলেদের সহযোগীয় সরকারে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের দাবি জানাচ্ছি।

পটুয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছধরার ট্রলার ও নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এসকে/ 

জেলে লঘুচাপ বঙ্গোপসাগর ট্রলার

খবরটি শেয়ার করুন