ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি বা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সর্বোত্তম উপায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছি। তবে আমি মনে করি এটি ব্যাপকভাবে হওয়া উচিত। আইএলও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে। এছাড়া কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (১৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে বের হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। যাতে তারা ভবিষ্যৎ বিশ্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সংস্থার কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি।
সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যা অনুভব করি তা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামাজিক ন্যায়বিচার, এসডিজির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে রাখা দরকার।
বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ বা বৃদ্ধ মানুষ, ছাত্রছাত্রী এমনকি কর্মজীবী মা বা স্তন্যদানকারী মা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন প্রযুক্তি আসছে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ তাদের চাকরি হারাবে না।
আরো পড়ুন: দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা বাড়াতে দুদককে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি আরও বলেন, চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা প্রয়োজন। সবাইকে অবশ্যই তাদের ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষিত হতে হবে। এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা স্কুল পর্যায় থেকে ডিজিটাল ল্যাবরেটরি এবং কম্পিউটার ল্যাবরেটরি করেছি। এরপর প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবেশন সেন্টার করেছি। তরুণ প্রজন্ম যেন প্রশিক্ষণ পায় এবং আমরা আমাদের জনগণকে প্রস্তুত করছি।
এম/