ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গরমে মিলছে শীতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি। অসময়ের এই সবজিতে বাজার ভরে গেছে। দাম তুলনামূলক একটু বেশি পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। পাইকাররা মাঠ থেকে এই কপি নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর, বেংমারী, তালতলাপাড়া, বাঁশেরতল, কাঁঠারিপাড়া, অচিনার ডাংগা, পোড়ারহাট প্রভৃতি এলাকা আগে থেকেই সবজির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এসব এলাকার কৃষকরা আগাম সব ধরনের সবজি চাষ করে লাভবান হয়ে আসছেন। এবারে তারা প্রথম শীতের ফুল ও বাঁধাকপি চাষ করেন। বর্তমানে বাজারে বিক্রি করে লাভবানও হচ্ছেন।
একই ইউনিয়নের বাঁশেরতল এলাকার কৃষক মাহতাব উদ্দিন জানান, মাত্র ৩০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে জমির অর্ধেক ফুলকপি বিক্রি করেছেন। জমি থেকে পাইকাররা ৮০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ৩০ শতক জমিতে লাগানো ফুলকপির মধ্যে অর্ধেক বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার টাকায়।
ফুলকপির জমিতে সাথি ফসল মরিচ চাষ করায় মরিচ গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ লাগেনি। ঐ এলাকায় তিনি ৯০ শতক জমি অন্যের কাছ থেকে তিন বছর আগে দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকায় বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। মরিচ, ফুলকপি বাদে অন্য জমিতে টম্যাটোর চাষও করেছেন। বর্তমানে টম্যাটোর সিজনও প্রায় শেষ। এ বছর টম্যাটোও তিনি লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। কৃষক মাহতাবের জমিতে গ্রীষ্মকালীন একেকটি ফুলকপি ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রামের ওজন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কৃষক মাহাতাবের ফুলকপি চাষ দেখে একই ইউনিয়নের বড়দহ গ্রামের বাসিন্দা গনিও ৭৫ শতক জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। এমন ফসল উত্পাদনকারী কৃষকের সংখ্যা আগামী দিনে বাড়বে।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন শুক্রবার
ফুলকপি চাষী মাহতাব বলেন, বাজার থেকে ফুলকপির বীজ কিনে বপন করে চারা তৈরি করেন। চারা বেড়ে ওঠার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর জমি প্রস্তুত করে ৫০ শতক জমিতে ওই চারা রোপণ করেন। প্রথম বারেই গ্রীষ্মকালে ফুলকপি চাষ করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। এলাকার মানুষ তা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
সৈয়দপুর কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা জানান, কৃষকরা এখন নিজেরাই আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগ এক্ষেত্রে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে যেন কৃষক ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজি আবাদ করে লাভবান হতে পারেন।
এম/