রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম *** রেমিট্যান্সে সুখবর : ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার *** রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** সন্ধ্যার মধ্যেই ৩ বিভাগে নামবে বৃষ্টি!

স্ত্রীকে যে সত্যিগুলো কখনোই বলবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:০০ অপরাহ্ন, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

দাম্পত্য জীবনে আমরা সবাই সুখে থাকতে চাই। কিন্তু সংসার সুখের হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্বচ্ছ কাচের মতো হওয়া প্রয়োজন । তবে তাই বলে সব সত্যি স্ত্রীকে বলতে যাবেন না কারণ, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে–এমনটাই অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুরুষের তুলনায় নারী অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। তাই স্ত্রীকে এমন কোনো সত্যি বলতে যাবেন না, যে সত্যি জানার পর স্ত্রীর হৃদয়ে নেমে আসবে কালবৈশাখী ঝড়। তাই দাম্পত্যসম্পর্ক মজবুত করতে অবশ্যই এই সত্যিগুলো আপনাকে সব সময়ই এড়িয়ে যেতে হবে। আসুন তা একে একে জেনে নিই।

 ১। অতীত সম্পর্ক: অতীতে কোনো প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে সে সত্যি কখনও স্ত্রীকে জানাতে যাবেন না। আপনি হয়তো নিজের দিক থেকে সৎ থাকার কারণে স্ত্রীকে জীবনের অতীতের সম্পর্ক বলতে চাইতে পারেন। তাই যদি হয়, এখনই সাবধান হন এবং এ সত্যি বলা থেকে পিছিয়ে আসুন। কারণ, আপনার স্ত্রীর জীবনে যদি কোনো অতীত সম্পর্ক না থাকে, তাহলে সে কখনোই এ সত্য হজম করতে পারবে না। যদি স্ত্রীর কাছে সৎ থাকতেই হয়, তবে অতীতকে নিজে জীবন থেকে পুরোপুরি বিদায় দিন। স্ত্রী ছাড়া জীবনে অন্য মেয়ের প্রতি আসক্তি বন্ধ করুন। এতে স্ত্রীকে অতীত সত্যি না বললেও আপনার তা দোষের হবে না।

২। পরিবারের কালো ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে কোনো নেতিবাচক ইতিহাস থাকে, তবে তা স্ত্রীর কাছে না বলাই ভালো। কেননা, পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাকেও স্ত্রী সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করবে। তাই নিজের ব্যক্তিত্বের ওপর জোর দিন। সৎ থাকুন। তাহলে স্ত্রীর থেকে এ সত্য লুকিয়ে গেলেও তার জন্য আপনি দায়বদ্ধ হবেন না।

 ৩। একান্ত দুঃখ:  কিছু দুঃখ থাকে একান্ত নিজের। তা কখনও কারো সঙ্গে শেয়ার করতে যাবেন না। এমনকি স্ত্রীর কাছেও না। এতে স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন। অকারণেই নেমে আসতে পারে সংসারে অশান্তি। তাই কিছু দুঃখ মনের মধ্যে চেপে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

  ৪। বয়েজ টক: আপনার বন্ধুদের সঙ্গে নারীদের নিয়ে আপনারা কেমন আলোচনা করে থাকেন, তা কখনও স্ত্রীকে বলতে যাবেন না। এতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে খারাপ ধারণা জন্ম নেবে আপনার স্ত্রীর। তাই চেষ্টা করুন, এ সত্যি স্ত্রীকে না জানাতে। বরং বন্ধুদের সঙ্গে এই বাজে বয়েজ টক থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলুন। আপনার ক্যারিয়ারে বেশি সময় ফোকাস রাখুন। তাহলে সামনের দিনগুলোতে সাফল্য আপনার হাতেই ধরা দেবে।

 ৫। স্ত্রীর সীমাবদ্ধতা: কখনও স্ত্রীর সীমাবদ্ধতা নিয়ে সত্যি বলতে যাবেন না। যদি স্ত্রী দেখতে অসুন্দর, কম শিক্ষিত, দরিদ্র হন তবে তার এই সীমাবদ্ধতা তাকে বলা বন্ধ করুন। কারণ, স্ত্রীর এসব সীমাবদ্ধতা পছন্দ না হলে আপনি তাকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে পারতেন। যেহেতু বিয়ে করেই ফেলেছেন, তাই এ সত্যি বলা থেকে আপনাকে বিরত থাকতেই হবে। আর তা না হলে সংসারে কখনোই আপনি সুখী হতে পারবেন না।

তাই সুখী দাম্পত্যের জন্য এই  সত্য স্ত্রীকে বলা থেকে বিরত থাকুন। সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করতে একে অন্যের প্রতি আরও বিশ্বস্ত হয়ে উঠুন। একে অন্যের হয়ে উঠুন শ্রদ্ধার পাত্র। 

এস/ আই.কে.জে/

স্বামী-স্ত্রী সংসার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন