সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

হামাস ও ইসরায়েল দু’পক্ষই যুদ্ধাপরাধী : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, ৯ই নভেম্বর ২০২৩

#

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকের তুর্ক

আল আকসা অঞ্চলে গত এক মাস ধরে চলমান যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস, উভয়কেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর।

বুধবার (৮ নভেম্বর) গাজা ও মিসর উপত্যকার সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনে গিয়ে এ অভিযোগ আনেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকের তুর্ক।

তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী যে সহিংসতা চালিয়েছে তা কেবল ঘৃণ্য, নিষ্ঠুর এবং বেদনাদায়কই নয়; বরং যুদ্ধাপরাধ। কারণ, তারা এখনও শতাধিক জিম্মিকে আটকে রেখেছে।

‘একইভাবে সেই হামলার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গত এক মাস ধরে গাজায় বোমা বর্ষণ ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের মাধ্যমে যে সামষ্টিক শাস্তি দিয়ে চলেছে, তাও যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’

মঙ্গলবার গাজা ও মিসর উপত্যকার সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনে গিয়ে এই কথা বলেন ভোলকের তুর্ক।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এ ছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

এই যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় চীনও। বর্তমানে জাতিসংঘ, ইসলামি বিশ্ব ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের দেশও গাজায় যুদ্ধবিরতি আহ্বানের সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েলের এই অবস্থানকে সমর্থনও করেছে। তবে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি গাজায় মানবিক বিরতি ঘোষণার জন্য ইসরায়েলকে চাপও দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব।

জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাকে এই অঞ্চলের গত ৫৬ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায় বলা যায়।

আই. কে. জে/


জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন