হুন্ডি ও অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানি লন্ডারিংবিরোধী সংস্থা বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসব অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ গত নয় মাসে ৩৭১টি অনলাইন গেমিং/বেটিং লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১ লেনদেন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩ লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, বিএফআইইউ এখন তথ্য বিশ্লেষণ করে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টো সংক্রান্ত ৮১৪ ওয়েবসাইট, ১৫৯ অ্যাপ ও ৪৪২ সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও লিংকের তালিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ ২১ মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানি লন্ডারিংবিরোধী কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএফআইইউ এ তথ্য জানিয়েছে।
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে বিএফআইইউ'র প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির পর হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় তা রেমিট্যান্স প্রবাহে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে অভিবাসী শ্রমিকরা এক দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক পাঁচ শতাংশ কম।