ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার চকবাজার থেকে রশিদ ছাড়া ১০৮ বস্তা আলু জব্দ করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। জব্দের পরই নগরীর ৩টি পয়েন্টে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করে দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। ৩৫ টাকা কেজি দরে এসব আলু বিক্রি করা হয়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর চকবাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে কুমিল্লার চকবাজার পাইকারি বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের মজুত, ক্রয় ভাউচার ও বেচা-বিক্রির তথ্য যাচাই করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, মেসার্স অরবিন্দ এন্টারপ্রাইজে বসে বগুড়া ও চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার ভাউচার নকল করা হচ্ছে। নিজেদের মতো তারা রেট বসিয়ে দাম নির্ধারণ করছে।
ভোক্তা অধিকারের উপস্থিতি দেখে একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যান উল্লেখ করে আছাদুল বলেন, ক্রয়ের বৈধ কোন ভাউচার দেখাতে না পারায় গুদামে থাকা ১০৮ বস্তা (৬,৪৮০ কেজি) আলু জব্দ করা হয়। এরপর সরকার নির্ধারিত দাম ৩৫ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক জানান, জব্দকৃত আলুর ১৯ বস্তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এবং ৮৯ বস্তা আলু শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণের মাঝে বিক্রি করে দেওয়া হয়। চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি এ বেচা-বিক্রি কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন বলে জানান তিনি।
আছাদুল বলেন, এছাড়াও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করায় হাজী ফয়েজ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা এবং তমাল কৃষ্ণ সাহাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন