শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ত্রিপুরায় পিটুনিতে নিহত তিন বাংলাদেশিকে ‘চোরাকারবারি’ বলল ভারত *** জাতীয়ভাবে লালন উৎসব উদযাপন অব্যাহত থাকবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী *** নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে রাজি বিএনপি *** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে: তাহের *** জুলাই যোদ্ধাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস

৪ মাস ১৮ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৩২ বস্তা টাকা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩০ অপরাহ্ন, ৩০শে আগস্ট ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

চার মাস ১৮ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। আজ শনিবার (৩০শে আগস্ট) সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে এসব দানবাক্স খোলা হয়।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন টাকা গণনার কাজ চলছে। পাগলা মসজিদের সিন্দুক খুলে পাওয়া টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিলামে বিক্রি করা হয়।

এর আগে ৪ মাস ১২ দিন পর চলতি বছরের ১২ই এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক এস. এম. মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পাগলা মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, টাকা গণনায় পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৩ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ২০ জন পুলিশ, ৫ জন র‍্যাব ও জেলা প্রশাসন থেকে ২০ জন কাজ করছেন। এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত একটি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দানের সিন্দুক থেকে টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর টাকা গণনার জন্য বস্তাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বস্তা থেকে টাকা মেঝেতে ঢেলে দেওয়ার পর শুরু হয় গণনার কাজ।

টাকা গণনা দেখতে এসেছেন কোরিয়া প্রবাসী আলমগীর হোসেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মসজিদের প্রতি মানুষের ভক্তি অন্যরকম। কোনো বিপদ, সমস্যা ও সংকটে পড়লেই মানুষ এই মসজিদে মানত করে। নিশ্চয়ই মানুষ এই মসজিদে দান করে শান্তি পায়। নইলে মানুষ এভাবে বিশেষ একটা মসজিদে দান-খয়রাত করত না। শহরে তো মসজিদের অভাব নেই। অন্য কোনো মসজিদে তো লোকজন এভাবে দান করে না।’

জে.এস/

পাগলা মসজিদ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250