বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হলেও কোনো সুবিধা নেননি ওয়াজেদ মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, ৯ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন হওয়া সত্ত্বেও এই মহান বিজ্ঞানী তার স্ত্রীর রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় কখনও প্রভাব বিস্তার করেননি। স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনো কোনো তদবির করেননি বা কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা নেননি। 

এমনকি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাভাবিক দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার পর অনেকের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বর্ধিত করারও চেষ্টা করেননি। প্রধানমন্ত্রীও নিজের স্বামীকে এমন সুবিধা দেওয়ার কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চেষ্টা করেননি। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।

৯ মে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতনও ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবর্ষে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালের কুখ্যাত শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

আরো পড়ুন: পদ্মা সেতুর পাশে ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণের প্রস্তাব

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, দেশে ও বিদেশের বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে তার প্রকাশিত অনেক গবেষণাপত্র বিজ্ঞানীমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। সারাজীবন তিনি বিজ্ঞানের গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষকদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা সূত্রে লিখিত তার কয়েকটি বিখ্যাত বই রয়েছে। বাংলাদেশ একদিন পরমাণু শক্তিকে জনগণের কল্যাণে সুচারুভাবে ব্যবহার করবে এটি তার মৃত্যুবরণের আগে পর্যন্ত স্বপ্ন দেখেছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি অত্যন্ত উৎসাহী ও আশাবাদী ছিলেন।

১৯৬৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

প্রধানমন্ত্রী স্ত্রী পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া

খবরটি শেয়ার করুন