শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সংস্কৃতিকে সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল অবদান রয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৯ অপরাহ্ন, ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সংস্কৃতিকে সকলের নিকট সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল অবদান ও সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কৃতির শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের সমাজকে রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রসার ঘটাতে হবে। এবং এটি করার সময় আমাদের অবশ্যই সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে যাতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। এ প্রক্রিয়ায় কেউ যাতে বাদ না যায় বা পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রতিমন্ত্রী কাতারের রাজধানী দোহাতে দুই দিনব্যাপী (২৫-২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩) ১২তম ICESCO-Islamic World Educational, Scientific and Cultural Organization সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ও  সৃজনশীলতা সমাজের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ডিজিটাল এবং আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তি সকল সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্পকে প্রভাবিত করেছে। প্রভাবিত করেছে শিল্পকর্ম তৈরি, সম্পাদন, এবং এর প্রচার, বিতরণ, বিপণন ও বিক্রয় প্রক্রিয়াকে। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ সহ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক ও শক্তিশালী উপাদানগুলিকে ব্যবহার পূর্বক সৃজনশীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের প্রাসঙ্গিক প্ল্যাটফর্মের সহ-অর্থায়ন সহ সকল সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল ক্ষেত্রে আন্তঃসদস্য রাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের প্রসার ঘটাতে হবে। 

কে এম খালিদ বলেন, ২০৩০ এজেন্ডা বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে যা ব্যবহার করে এ অঞ্চল ও এর আশেপাশে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও সহজতর করা যেতে পারে। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্থাপনাসমূহের বিকৃতকরণ, ধ্বংস, লুটপাট এবং অবৈধ বাণিজ্য ও সীমান্ত পাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। সেজন্য আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ ইসলামী ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, প্রচার-প্রসার ও সংরক্ষণ নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন ও পেশাদার সক্ষমতা জোরদারকরণে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তৃতা করেন কাতারের সংস্কৃতি মন্ত্রী শেখ আব্দুল রহমান বিন হামাদ আল-থানি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ISESCO এর মহাপরিচালক সালেম বিন আল মালিক। তাছাড়া ইউনেস্কো'র সাবেক মহাপরিচালক আইরিনা বকোভা সম্মেলনে গেস্ট অব অনার হিসাবে বক্তৃতা করেন। 

উল্লেখ্য, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ দুই সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্য হলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ। 

সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- "Toward Renewing Cultural Action in the Islamic World"

সম্মেলনে ICESCO এর সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংস্কৃতি মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এসকে/ এএম/ 

সংস্কৃতি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ কাতার দোহা সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলন

খবরটি শেয়ার করুন