শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনা আলম নিজেকে উদ্ভাসিত করেছেন আলোর রঙে

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:২৭ অপরাহ্ন, ১লা নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

মেঘনা আলম যেন নিজেকে উদ্ভাসিত করেছেন আলোর রঙে, বর্ণে, ছন্দে, গীতিতে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা ও মহৎ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে মেঘনা আলম অর্জন করেছেন অসংখ্য মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। প্রথম ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০’ বিজয়ী হিসেবে মাথায় তাজ পড়েছিলেন তিনি। 

প্রতি বছরই তিনি তার জন্মদিনকে পালন করে থাকেন একটু ব্যতিক্রমভাবে মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের প্রয়াসে। যেমন একবার তিনি নিজের জন্মদিনে প্রত্যেককে একটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ জানিয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, যা পরিবেশ রক্ষার্থে সচেতনতা বৃদ্ধির নিয়ামক হিসেবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দারুণভাবে উৎসাহিত করেছিল। 

মূলত, একজন আন্তর্জাতিক আর্টিস্ট হিসেবে নিজের দেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার স্বপ্ন নিজের মধ্যেই সর্বদা বুনতে থাকেন মেঘনা আলম। 

তিনি বলেন, ‘এখনই আমি নাটক বা সিনেমায় কাজ করতে আগ্রহী নই। নাটক বা সিনেমায় অভিনয় দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। আপাতত স্টিল ফটোশুট, অ্যাঙ্করিং এবং লুকবুক ভিডিওগুলোতে কাজ করতে চাই এবং এগুলো নিয়েই ব্যস্ততা আমার।

আমি ‘মিস ইন্ডিয়া’ অফিশিয়াল ট্রেইনার আলেসিয়া রাউতের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়েছি। আর মিডিয়ায় কাজ করার নানান সুযোগ সত্ত্বেও আমি আন্তর্জাতিক আর্টিস্ট হিসেবে আমার দেশকেই বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরতে চাই। 

সর্বোপরি, আমি আমার দেশের জন্য কাজ করতে চাই এবং আমি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেও অন্যরকম এক তৃপ্তি পাই, যা আমাকে ভীষণভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে আসছে। আর আমার জীবনের সর্বোত্তম প্রাপ্তিও মানুষের ভালোবাসাটুকুই মনে হয়’। 

এদিকে, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নিজের জন্মদিনে মহৎ উদ্যোগ নিতে ভুল করেননি ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ' খ্যাত এই গ্ল্যামারাস আর্টিস্ট। এবারের জন্মদিন কীভাবে কাটিয়েছেন তা নিয়েও ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্টে লেখা, ‘আমার জন্মদিন বা এই গ্রহে সময় অতিবাহিত করার জন্য দুই বছর পূর্বে আমি দুটি কাজ শুরু করেছিলাম। 

প্রথমটি হচ্ছে আমার ফিটনেস নিয়ে কাজ করা এবং দ্বিতীয়টি ‘Jaago (জাগো)’ এর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার প্রচার সাধনে কাজ করা। আমার ব্যক্তিগত জীবনের দুঃসময়ে প্রথমটি কখনো কখনো আমি এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হই, কিন্তু পরেরটি আমাকে মনে করিয়ে দেয় আমাকে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে। 

কারণ অন্যদের প্রতিও আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে, শুধু নিজের জন্য দায়িত্ব পালন করাটাই যথেষ্ট নয়। আমার মা এবং একজন মুসলিম ভাই ও বোনকে ধন্যবাদ আমার সাথে আনন্দ উদযাপন করার জন্য; শিশুদের জন্য খাবার ও স্ন্যাকসের ব্যবস্থা করার জন্য। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ্। জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।’

আরো পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার : সেরা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী জয়া-শিমু

এসি/ আই. কে. জে/ 



মেঘনা আলম

খবরটি শেয়ার করুন