ছবি : সংগ্রহিত
হালকা হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। আর এ মৌসুমে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এ রোগ দেখা দিলে রোগীর শ্বাসনালি সংকুচিত হয়, ফলে রোগী তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকেন।
অ্যাজমা বা হাঁপানির উপসর্গ:
১. এ রোগ হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
২. অতিরিক্ত কাশি থাকার কারণে বুকের মধ্যে দমবন্ধ ভাব অনুভব হয়।
৩. অনেক সময় বুকে বাঁশির মতো শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
৪. শ্বাসনালিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং তা সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে হাঁপানির টান বেড়ে যায়।
যেসব কারণে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে তা হলো:
১. বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে গেলে
২. রান্নার চুলার ধোঁয়া (কাঠ কিংবা অন্যান্য জ্বালানি পোড়ানোর কারণে)
৩. ঠাণ্ডাজনিত কারণে
আরো পড়ুন : লবণ-পানিতে গোসলে যা ঘটতে পারে শরীরে, জেনে নিন
৪. অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা
৫. কুয়াশা অথবা অতিরিক্ত শীতে ভ্রমণ করা ইত্যাদি।
যা করতে হবে:
১. ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না, খাবার ভালো করে গরম করে খান।
২. শীতের পোশাক রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
৩. বাইরে গেলে অবশ্যই শীতের গরম কাপড় সঙ্গে রাখুন।
৪. গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, বেগুন এসব খাবারে অনেকের অ্যালার্জি হয়, আর অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট।
৫. ধুলাবালি থেকে বাঁচতে রাস্তা-ঘাটে চলাচলের সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার।
৬. যেকোন প্রকার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
৭. মশার কয়েলের ধোঁয়ায়ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে, নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
৮. মশার স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন কারণ এটাও বেশ ক্ষতিকর।
যদি খুব কষ্ট হয়, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন