ছবি: সুখবর
রোববার (৭ই জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ব্যালট পেপার ব্যতীত স্বচ্ছ ব্যালট-সিলসহ বাকি নির্বাচনী উপকরণ কেন্দ্রগুলোতে বিতরণ শুরু হয়েছে।
শনিবার (৬ই জানুয়ারি) রেসিডেন্সিয়াল কলেজে সকাল ১১ টায় নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়। এসব মালামাল নির্দিষ্ট আসনের ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যালট পেপার ভোট গ্রহণ শুরুর আগ মুহুর্তে পৌঁছে দেবে নির্বাচন কমিশন।
এরইমধ্যে ঢাকার-৪ আসন থেকে ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাবিরুল ইসলাম স্বচ্ছ ব্যালট-সিলসহ নানা নির্বাচনী উপকরণ বিতরণ করছেন।
এবিষয়ে রিটার্নিং অফিসার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১৫টি সংসদীয় আসনের ১৫ টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা আছে। সেই কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনের মালামাল বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা সেসব মালামাল গ্রহণ করছেন। আমাদের ১৫ টি আসনের মোট ভোটার ৫৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জন। মোট প্রার্থী ১২৬ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৯৯ টি। প্রিজাইটিং অফিসার ২ হাজার ৯৯ জন। সর্বমোট পোলিং পারসোনাল রয়েছে ৩৭ হাজার ৭৯৩ জন।
ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাশকতাকারীরাদের রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। ভোটারদের বলতে চাই কোথাও যদি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো সুযোগ থাকে নজরে আসা মাত্রই আমরা পদক্ষেপ নিব।
আরও পড়ুন: ২৮ দলের কত প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসারের ১৫-১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় পৌনে সাত লাখ সদস্য শুক্রবার (৫ই জানুয়ারি) মাঠে নেমেছেন। এদিন ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে নামেন। নির্বাচনী অপরাধের ক্ষেত্রে তারা তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করবেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোটের মাঠে ৬৫৩ বিচারিক হাকিম
ইসি জানায়, নির্বাচনের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। তবে পার্বত্য, হাওর, বাওর, চর বা দ্বীপাঞ্চল বা দুর্গম অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের প্রস্তাব অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যালট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন।
ভোটের ‘অভিযোগ বা বিতর্ক’ এড়াতে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন