১৪ দলের বৈঠক-ফাইল ছবি : সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের ৭টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
আসনগুলো হলো: কুষ্টিয়া-২, লক্ষ্মীপুর-৪ বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, সাতক্ষীরা-১, বরিশাল-৩ এবং পিরোজপুর-২। এরমধ্যে ৩টি আসন পাচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) পাচ্ছে ৩টি এবং ১টি আসন পাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জেপি- মঞ্জু)।
যে ৭টি আসন শরিকদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে তার মধ্যে রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। এছাড়া বগুড়া-৪ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলি, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহমেদ স্বপন, বরিশাল-৩ আসনে সরদার মো. খালেদ হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। আর কুষ্টিয়া-২ আসন ফাঁকা রেখেছিল দলটি।
গত ২৬ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও কুষ্টিয়া-২ আসন ফাঁকা রেখে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার পর থেকেই জোটের প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে উন্মুখ হয়েছিলেন শরিক দলের নেতারা। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ১৪ দলের নেতারা। বৈঠকে শরিকদের সঙ্গে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়।
এর পরদিন ৫ ডিসেম্বর ইস্কাটনে আমির হোসেন আমুর বাসভবনে বৈঠক করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার। সেদিনও আসন বণ্টনের কোনো ঘোষণা আসেনি। অবশেষে ৭টি আসন ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ।
২০০৮ সাল থেকেই ১৪ দলীয় জোট একসঙ্গে নির্বাচন করে আসছে। সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও শরিক দলের আট নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও জোটের শীর্ষ নেতারা নৌকা প্রতীকেই ভোট করার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন।
আই.কে.জে/