ছবি: সংগৃহীত
মো. হাবিবুল আলম
বিড়ালের মালিকরা বিশ্বাস করতেন তাদের পোষা বিড়ালটি নিজের পছন্দ এবং অপছন্দের বিষয়টি প্রকাশ করে শারীরিক ভাষা ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পোষা প্রাণীদের শারীরিক ভাষায় যোগাযোগ করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাতে বিড়াল সর্ম্পকে মালিকদের ধারণা সত্য বলে প্রমাণিত হল।
বিহেভিয়ারাল প্রসেস জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, গৃহপালিত এসব প্রাণী পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করার সময় ২৭৬ ধরণের অঙ্গভঙ্গি করে। যেমন কানের ঝাঁকুনি, নাক কুঁচকানো ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণায় কোনও একটি নির্দিষ্ট অঙ্গভঙ্গি কী অর্থ প্রকাশ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়নি।
গবেষণায় জানানো হয়, অন্য প্রাণীদের মাঝেও এই ধরণের যোগাযোগ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন গিবনদের রয়েছে ৮০ ধরণের। অন্যদিকে শিম্পাঞ্জির রয়েছে ৩০০শ’র অধিক অঙ্গভঙ্গি। গবেষণায় জানানো হয়, অন্য প্রাণীদের মাঝেও এই ধরণের যোগাযোগ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন গিবনদের রয়েছে ৮০ ধরণের। অন্যদিকে শিম্পাঞ্জির রয়েছে ৩০০ শ’র অধিক অঙ্গভঙ্গি। বিড়ালকে খুবই অভিব্যক্তিপূর্ণ প্রাণী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রধান গবেষক ও আরকানসাসের বেটসভিল লিয়ন কলেজের মনোবিজ্ঞানী ব্রিটানি ফ্লোরকিউইচ।
ফ্লোরকিউইচ ও তার গবেষণা সহযোগী লরেন স্কট, লস এঞ্জেলেসের CatCafé লাউঞ্জে বসবাসকারী ৫৩টি প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালের ওপর গবেষণা চালান। প্রধান গবেষক বলেন, বিড়ালের ক্যাফেগুলি এই ধরণের গবেষণার জন্য নিখুঁত ছিল। কারণ সেখানে বিড়ালরা অবাধে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারত এবং স্বাভাবিকভাবে ঘটতে থাকা মিথস্ক্রিয়াগুলি দেখা সহজ ছিল।
গবেষণার জন্য স্কট আগস্ট ২০২১ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত ক্যাফেতে গিয়ে প্রায় ১৫০ ঘণ্টা ব্যয় করেছেন। একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে সেখানে থাকা বিড়ালের মিথস্ক্রিয়ার ভিডিও ধারণ করেছেন।
এইচআ/ আই.কে.জে/