মঙ্গলবার, ২৭শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাদিসে হারাম উপার্জনকারীর জন্য যে আদেশ রয়েছে

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

আয়-উপার্জন ছাড়া জীবনযাপন সম্ভব নয়। ইসলাম মানুষকে আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে পরকালের প্রস্তুতি নিতে বলে, একইসঙ্গে জীবন পরিচালনার জন্য জীবিকা উপার্জনের কথা বলে।

পবিত্র কোরআনে নামাজ আদায়ের পর জীবিকার জন্য বের হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে—

فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ فَانۡتَشِرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَ ابۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِ اللّٰهِ وَ اذۡكُرُوا اللّٰهَ كَثِیۡرًا لَّعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ

অতঃপর যখন নামাজ সমাপ্ত হয়, তখন যমীনে ছড়িয়ে পড়, আর আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে থাক- যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। (সূরা জুমআ, আয়াত :১০)।

নামাজ এবং ইবাদতের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তার জন্য উপার্জন করতে হবে। তবে এই উপার্জন অবশ্যই হালাল ও বৈধ উপায়ে হতে হবে। নবী করিম সা. বলেছেন- ‘হালাল জীবিকা সন্ধান করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।’ (তাবরানি ও বায়হাকি)।

আরো পড়ুন : খিটখিটে মেজাজ দূর করতে নবীজির উপদেশ

হারাম উপার্জনে কখনো কোনো ইবাদত আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না। আরেক হাদিসে নবী করিম সা. বলেছেন- যে দেহের গোশত হারাম উপার্জনে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (আহমাদ ১৪৪১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৭২, দারিমী, ২৭৭৯।)

অবৈধ উপায়ে অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ উপার্জন থেকে বিরত থাকতে বলেছেন আল্লাহ তায়ালা নিজেও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারককে উৎকোচ দিও না।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

হারাম উপার্জন মানুষকে যেভাবে দুনিয়াতে শাস্তি দেয়, তেমনি কবরেও তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। 

সামুরাহ ইবনে জুনদুব রা. বলেন, নবীজি সা. বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি স্বপ্নে দেখেছি, দুই ব্যক্তি আমার কাছে এসে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম। নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানের লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায় তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খণ্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায় ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ ব্যক্তি কে? সে বলল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হলো সুদখোর। ’ (বুখারি, হাদিস : ২০৮৫)

এস/ আই.কে.জে/

পবিত্র কোরআন হারাম আল্লাহ তায়ালা

খবরটি শেয়ার করুন