মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন *** গত বছর ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের শীর্ষে পাকিস্তানিরা, বাংলাদেশিরা চতুর্থ *** বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে একমত বিএনপি-জামায়াত *** শিক্ষাসচিবকে প্রত্যাহার, জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম *** মাইলস্টোনে আহতদের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে আসছে চিকিৎসক দল: শ্রম উপদেষ্টা *** সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের বহর বাতিল করবে ভারত *** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ সাতজন খালাস

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১৯ অপরাহ্ন, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাত আসামি।

এ বিষয়ে আপিলের শুনানি করে বুধবার (১৮ই ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

এছাড়া মামলাটিতে উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ছয়জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাবরের আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির।

আলোচিত ওই মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর গত ৬ই নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। সেদিন পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। পেপারবুক উপস্থাপন শেষে ৮ ও ৯ই ডিসেম্বর যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের পর ৯ই ডিসেম্বর আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১১ই ডিসেম্বর লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান শুনানিতে ছিলেন।

শুনানির বিষয়ে পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, লুৎফুজ্জামান বাবর মূলত এ মামলার আসামি ছিলেন না। ২৮ জনের সাক্ষ্য হয়ে যাওয়ার পরে পুনরায় তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পুনরায় তদন্ত হয়। ওই তদন্তের মাধ্যমে বাবরসহ ১১ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়। এরপর ৫৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বাবরকে বিচারিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয়। এভাবে মামলা চলা অবস্থায় ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা আইনানুযায়ী হয়নি, বেআইনিভাবে করা হয়েছে বলে শুনানিতে তিনি বলেছেন। বাবরের নামে কোনো সরাসরি সাক্ষ্য–প্রমাণ ও কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই।

২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

ওআ/কেবি

খালাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন