বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন লাগবে না *** ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসিকে চিঠি *** বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীদের শর্ট স্লিভ ড্রেস ও লেগিংস নিষেধ, পরতে হবে শালীন পোশাক-হিজাব *** সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা *** জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন বিশ্ব আদালত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ *** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপনি মানসিক রোগে ভুগছেন কি না বুঝবেন কিভাবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৫ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মানসিক রোগ মানসিক স্বাস্থ্যেরই একটি দিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক সমস্যাকে অনেকেই তেমন গুরুত্ব দেন না। আবার অনেকে বুঝতেই পারেন না তার মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। শারীরিক অন্যান্য সমস্যার মতো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলেও এর চিকিৎসা প্রয়োজন। সঠিক কাউন্সেলিং ও চিকিৎসায় পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা যায় এ সমস্যা থেকে।  তাই আসুন জেনে নিই, কী ধরণের আচরণ বা উপসর্গ স্পষ্ট হয়ে উঠলে বুঝবেন আপনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

আরো পড়ুন : এনার্জি ড্রিংক নিয়ে যা বলছে গবেষণা

মানসিক রোগের যেসব লক্ষণ হতে পারে:

 ১. হঠাৎ হঠাৎ করে বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠা।

২. অনেকদিন ধরে নিজেকে সবার কাছ থেকে গুটিয়ে রাখা।

৩. টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা।

৪. অন্যদের সঙ্গে একেবারে কথা বলতে না চাওয়া।

৫. সবার সাথে ঝগড়া করা।

৬. গায়েবি আওয়াজ বা কথা শুনতে পাওয়া।

৭. অন্যদের অকারণে সন্দেহ করতে শুরু করা।

৮. গোসল বা দাঁত মাজার মতো নিয়মিত প্রাত্যহিক কাজ করা বন্ধ করে নিজের প্রতি যত্ন না নেয়া।

৯. যেসব কাজে আনন্দ পাওয়া সেসব কাজে নিরানন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া।

১০. সামাজিক সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়া।

১১. নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া সবকিছুতে।

১২. সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা, পরিকল্পনা ও চেষ্টা করা।

১৩. অতিরিক্ত শুচিবায়ুগ্রস্ত হয়ে ওঠা।

১৪. ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বাড়তে পারে।

১৫. খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া।

১৬. বাসার, অফিসের বা পেশাগত কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হওয়া বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

তবে এই সমস্যাগুলোর মানেই যে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত, এমন তা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা গেলে নিজে থেকে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করতে হবে। ভালো লাগার কাজগুলোতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। তারপরও যদি আপনি এ সমস্যা থেকে বের হতে না পারেন তবে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দ্রুতই আপনার কথা বলা উচিত।

একমাত্র মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই আপনার অবস্থা সঠিকভাবে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারবেন যে, এখানে আসলে কোন ব্যবস্থা নেয়া উচিত আপনার ক্ষেত্রে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন কোন ব্যক্তির আচরণ, ব্যবহারে বড় ধরণের পরিবর্তন দেখা যায়, বিশেষ করে তার আবেগ প্রকাশে পরিবর্তন আসে এবং সেটা তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে, সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে শুরু করে, তখনি সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। মনের অবস্থার কারণে যদি কারও স্বাভাবিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতে থাকে, তখন বুঝতে হবে যে, সে হয়তো মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সূত্র: বিবিসি

এস/ আই.কে.জে/

স্বাস্থ্য পরামর্শ মানসিক রোগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন