শবনম। ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে
আজ ১৭ই আগস্ট, রোববার ‘রূপনগরের রাজকন্যা’খ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনমের ৮০তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর তিনি অংশ নিয়েছেন কোনো টিভি অনুষ্ঠানে। চ্যানেল আইয়ের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠানটির নাম ‘শবনম: রূপনগরের রাজকন্যা’।
আবদুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে শবনম বলেছেন তার স্মৃতিময় জীবনের নানা কথা। প্রচারিত হবে আজ রাত ৮টা ২৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে। এ ছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিন ও চ্যানেল আই অনলাইনেও দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।
শবনম বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমা করার পর আর কোনো অনুষ্ঠানে যাইনি। এই প্রথম কোনো টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়েছি। এত বছর পর চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া হলো। খুব ভালো লেগেছে।’
১৯৬১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন শবনম। এর আগে এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’য় অভিনয় করে পুরো পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি অর্জন করেন। ষাট থেকে আশি—দীর্ঘ তিন দশক ধরে টানা অভিনয় করে নায়িকা খ্যাতি ধরে রেখেছিলেন তিনি।
‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘হারানো দিন’, ‘আমার সংসার’, ‘কখনো আসেনি’, ‘চোর’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘জুলি’, ‘নবারুণ’, ‘নাচঘর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সন্ধি’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘সহধর্মিণী’সহ বাংলা-উর্দু মিলিয়ে ১৮০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম।
সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শবনম। এরপর আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি তিনি। শবনমের মনে এখনো দাগ কেটে আছে আম্মাজান সিনেমা এবং নায়ক মান্না।
শবনম বলেন, ‘মান্না একজন ভালো আর্টিস্ট ছিল। ব্যক্তি মান্নাও দারুণ মানুষ ছিল। অনেক মিস করি মান্নাকে। একটাই সিনেমা করেছি তার সঙ্গে। কিন্তু আমার মনে হয়, আম্মাজানের জন্যই ও জন্ম নিয়েছিল। ও খুব জলদি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ওর চলে যাওয়াতে সে সময় আমাদের ইন্ডাস্ট্রি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।’
খবরটি শেয়ার করুন