মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন *** গত বছর ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের শীর্ষে পাকিস্তানিরা, বাংলাদেশিরা চতুর্থ *** বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে একমত বিএনপি-জামায়াত *** শিক্ষাসচিবকে প্রত্যাহার, জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম *** মাইলস্টোনে আহতদের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে আসছে চিকিৎসক দল: শ্রম উপদেষ্টা *** সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের বহর বাতিল করবে ভারত *** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

বিপদে পড়লে গাছও কথা বলে!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, ২৮শে জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

গাছের যে প্রাণ আছে তা ১২৩ বছর আগে বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেছিলেন। এবার গাছেরা একে অপরের সঙ্গে ‘কথা’ বলে---এই আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিলেন জাপানের এক বিজ্ঞানী। তবে মানুষের মতো শব্দে কথা নয়, তাদের মতো করেই সেই যোগাযোগ স্থাপন হয়।

সম্প্রতি যা সামনে এসেছে বলা যায় তা জগদীশ বসুর থিওরির উপরই দাঁড়িয়ে। ‘সংবেদনশীল’ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি গাছ আশপাশের কোনো প্রাকৃতিক বদল বা নিজের উপর ঘটা কোনো ঘটনা তার প্রতিবেশী গাছকে জানিয়ে দেয় বলে দাবি করছেন সাইতামা ইউনিভার্সিটির এক গবেষক।

গবেষণা বলছে, ‘এয়ারবোর্ন কম্পাউন্ড’ এক্ষেত্রে যোগাযোগের মাধ্যম।

জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটির মলিকিউলার বায়োলজিস্ট মাসাতসুগু টোয়োটা। একদল গবেষককে সঙ্গে নিয়ে তিনি গাছেদের এই কথোপকথন ক্যামেরাবন্দি করেছেন। জার্নাল নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় তা প্রকাশ হয়েছে। মূলত গাছেরা তাদের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া কীভাবে প্রকাশ করে বা তাদের প্রতিবেশিদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ তৈরি করে তারই ছবি ধরা পড়েছে সেখানে।

আরো পড়ুন : কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না যে দ্বীপে!

বিশেষ করে কোনো ‘শত্রু’ সামনে এলে তার হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য তৈরি হতে যে প্রক্রিয়ায় গাছেদের নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র ও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় তাকেই রেকর্ড করেছেন টয়োটা। এই প্রতিক্রিয়াকে ‘এয়ারবোর্ন অ্যালার্ম’ বা বায়ুবাহিত সতর্কীকরণ বলা যায়।

টয়োটা এই প্রক্রিয়া দেখার জন্য দু’টি গাছ নেন। একটি গাছে কিছু পোকার উপদ্রবের ব্যবস্থা করেন। কিছু শুঁয়োপোকা গাছটির পাতায় ছেড়ে দিয়েছিলেন টয়োটা। শুঁয়োপোকা পাতা খেতে শুরু করতেই অন্য একটি গাছে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে।

একটি টমোটো গাছের পাতায় শুঁয়োপোকা ছাড়া হয়। পাতাগুলো শুঁয়োপোকা খেতে থাকে। পাশেই ছিল আরাবিডোপসিস থালিয়ানা গাছ। তাতে ক্যালসিয়াম আয়ন ব্যবহার করা হয়। বায়োসেন্সরের ব্যবহারে ধরা পড়ে দুই গাছের কথাবার্তা। টমোটো পাতা থেকে ‘ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ড’ ছড়িয়ে দেয় আরাবিডোপসিসে।

এই ‘কম্পাউন্ডকে’ গ্রহণ করে আরাবিডোপসিস গাছটি বুঝতে পারে যে পাশেরটি আক্রান্ত। যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং তা গাছের গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে শরীরকে সতর্ক করতে শুরু করে। টয়োটার ব্যবহার করা ক্যালসিয়াম আয়নে আরাবিডোপসিসের পাতায় উজ্জ্বল হলুদ সঙ্কেত দিতে থাকে। বায়বীয় যৌগের আদানপ্রদানে এটা হয়।

সূত্র: সাইন্স আর্ট, এনডিটিভি

এস/ আই.কে.জে/ 

আবিষ্কার গাছ টমোটো

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন