ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের যত্ন কেবল মেয়েদেরই প্রয়োজন—এ ধারণা ভুল। শুধু সৌন্দর্যের জন্য ত্বকের যত্ন নিতে হবে—এমন ভাবনাও ঠিক নয়। কেননা, মানবদেহের সবচেয়ে বড় আর অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ত্বক। আর ত্বকের সুস্থতার ওপর নির্ভর করে শরীরের অনেক কিছু। তাই পুরুষদেরও ত্বক বিষয়ে সচেতনতা দরকার।
পুরুষের ত্বক মেয়েদের ত্বকের চেয়ে কিছুটা আলাদা বৈশিষ্ট্যের। সব মিলিয়ে, পুরুষদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য একটু আলাদা সচেতনতা দরকার।
—যারা শেভ করেন, তাদের উচিত প্রতিদিন কাজটি করা। শেভ করার আগে ভালোভাবে গাল ফেনাযুক্ত করে এক মিনিট অপেক্ষা করা উচিত, যাতে ত্বক নরম হয়। ধারালো ব্লেড দিয়ে এক টানে শেভ করতে হবে—ঘষাঘষি না করে। যেদিকে দাড়ি গজায়, সেই দিকে শেভ করবেন, উল্টো দিকে নয়। আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করা ভালো। তবে ফিটকিরিজাতীয় পদার্থ ব্যবহার করবেন না। জেল কিংবা আফটার শেভ লোশনে অ্যালার্জি হলে ব্র্যান্ডটি পাল্টে নিন।
—পুরুষেরা ঘরের বাইরে দীর্ঘ সময় কাটান। তাই অন্তর্বাসের বিষয়ে সতর্ক হোন। অবশ্যই সেটি যেন সুতি ও আরামদায়ক কাপড়ের হয়। সিনথেটিক বা পলিয়েস্টার কাপড় ঘাম শোষণ করে না। ফলে এ ধরনের কাপড়চোপড় পরলে ত্বকে ঘাম জমে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। প্রতিদিন অন্তর্বাস পাল্টানো জরুরি।
—সারা দিন জুতা-মোজা পরে থাকতে হয় বলে অনেকের পায়ে দুর্গন্ধ হয়, পা স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। অনেক সময় পায়ে ছত্রাক সংক্রমণও হয়। প্রতিদিন ধোয়া মোজা পরবেন। মোজা ছাড়া শুধু জুতা পরবেন না। এতে পায়ে সংক্রমণ হতে পারে। অফিসে প্রয়োজনে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখতে পারেন বা পায়ে হালকা ফুট ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। অজু বা গোসল করার পর পায়ের পানি মুছে ফেলুন। আঙুলের ফাঁকে যেন পানি জমে না থাকে। আঙুলের ফাঁকে সাদা ফাঙাস পড়ে। তাই টিস্যু পেপার দিয়ে পানি মুছে নিন।
—অনেকে মনে করেন, ছেলেদের চুল ছোট হওয়ায় বেশি বেশি শ্যাম্পু করার দরকার নেই। এ ধারণা ভুল। ছেলেদেরই মাথার চুলে ময়লা জমে বেশি। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। চুলে বেশি জেল ব্যবহার না করাই ভালো।
—গোসল করার পর ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার বা লোশন লাগানো ভালো। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ক্রিম, সাধারণ ত্বকের জন্য লোশন আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টোনার বা জেল ভালো। অনেক পুরুষের মুখে ব্রণ হয় বেশি। সে ক্ষেত্রে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করুন।
খবরটি শেয়ার করুন