মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গত বছর ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের শীর্ষে পাকিস্তানিরা, বাংলাদেশিরা চতুর্থ *** বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে একমত বিএনপি-জামায়াত *** শিক্ষাসচিবকে প্রত্যাহার, জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম *** মাইলস্টোনে আহতদের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে আসছে চিকিৎসক দল: শ্রম উপদেষ্টা *** সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের বহর বাতিল করবে ভারত *** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

১০ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে আলাদা জীবনে রিফা ও শিফা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১০ ঘণ্টার সফল অপারেশনের পর পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো শিফা ও রিফাকে আলাদা করা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা.শাহানূর ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রায় দেড় বছর বয়সী শিফা ও রিফার অস্ত্রপচার হলেও ভালো নেই রিফা। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ায় রিফাকে পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে ও শিফা মায়ের কোলে ভালই আছে।

বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মাহমুদা ২০২৩ সালের ৭ই জুন বুক-পেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় জমজ কন্যা শিশুর জন্ম দেন। পরে চলতি বছরের ২১শে জুন তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর ছয় মাস পর অপারেশনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তাদের শরীরে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকলেও বুক ও পেট জোড়া লাগানো অবস্থায় ছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় দুজনের হৃদপিণ্ডের পর্দা, সাধারণ যকৃত নালী, শিরা, ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ এক অন্যের সঙ্গে জোড়া লাগানো রয়েছে।

টিস্যু বর্ধিতকরণের পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৭ই সেপ্টেম্বর ১০ ঘণ্টাব্যাপী সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে দুজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিই) ভেন্টিলেশন দিয়ে রাখা হয়। ৮ই সেপ্টেম্বর রিফাকে ও ৯ই সেপ্টেম্বর শিফাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। পরে ১১ই সেপ্টেম্বর সকালে শিফার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা বর্তমানে উন্নতি হওয়ায় আজকেই কেবিনে দেওয়া হতে পারে।

ডা শাহানূর ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এই অপারেশনে ৮০ জনের একটি টিম ছিল। পরিবারটি অনেক গরিব তাই তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। চিকিৎসার খরচ বহন করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, আকিজ গ্রুপ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, বারেডেম, ট্র্যান্সফিউশন মেডিসিন ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন।

হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে শিফা ও রিফার বাবা বাদশা বলেন, জোড়া লাগানো মেয়েদের চিকিৎসায় সব ধরনের সেবা আমি ফ্রি পেয়েছি। এক বছর ধরে শাহানুর ম্যাডাম নিজের পকেট থেকে অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছেন এবং আমার মেয়েদের চিকিৎসা করেছেন। যারা চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ওআ/কেবি

অস্ত্রোপচার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন