বৃহস্পতিবার, ২রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হোগলাপাতার নান্দনিক সাজে পরিবেশবান্ধব পূজামণ্ডপ, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা *** গ্রেটা থুনবার্গসহ গাজামুখী নৌবহরের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে ইসরায়েল *** গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন: আবদুল আউয়াল মিন্টু *** ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি এলাকায়, গাজামুখী নৌবহরে হস্তক্ষেপের শঙ্কা *** বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, এম এ মালিককে সতর্ক করল বিএনপি *** অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা চলছে লন্ডনে *** ভারতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে অসুর রূপে উপস্থাপন নিন্দনীয় ও অসম্মানজনক: ধর্ম উপদেষ্টা *** স্বস্তি ফিরছে খাগড়াছড়িতে, যান চলাচল শুরু *** পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালানো আসামি অবশেষে... *** ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু

ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সমালোচনাকারীরাই এখন বেশি সুবিধা নিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:২৫ অপরাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৩

#

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিল, তারাই এখন এর সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর সভায় বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ায় দেশের সবক্ষেত্রেই উন্নতি হচ্ছে। ডিজিটাল থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে।’

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটি পূরণ করেছি। এবার সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট - এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেয়া বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রতিটি টেলিফোন ছিল অ্যানালগ। আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল টেলিফোন চালু করি। 

‘আর মোবাইল ফোন ঢাকা আর চট্টগ্রাম ছাড়া কোথাও চলতো না। একটা মাত্র কোম্পানি ছিল, মোবাইলে কল করলে ১০ টাকা প্রতি মিনিট, ধরলেও ১০ টাকা প্রতি মিনিট। সেই জায়গা থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল মানুষের হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে দেয়া। আজকে কম খরচে কথা বলা ছাড়াও ইন্টারনেট চালাচ্ছে সবাই।’

‘আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ প্রযুক্তি খুব দ্রুত ধারণ করতে পারে। এখন সবাই মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখেছে। আমরা চাই, সবাই প্রযুক্তিগত দিকে দক্ষ হয়ে উঠুক। আমরা গ্রাম পর্যায়ে, স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের অনেক সুযোগ করে দেয়। আমরা সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে করতে কায়িক শ্রমের কোনো দরকার পড়বে না। ড. শহীদুল্লাহ অনেক আগে একটি আর্টিকেলে লিখেছিলেন যে, একসময় মানুষের অবয়ব কেমন হবে। তিনি লিখেছিলেন: বড় একটা মাথা থাকবে আর দুটি আঙ্গুল থাকবে বোতাম টেপার জন্য। তখন আমরা চিন্তা করতাম - এসব কথা তিনি কোথায় পান। আজকে দেখছি তার কথাই সত্যি।’

এ সময় ডিজিটাল পেমেন্টের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বিল অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এখন এটির সুফল ভোগ করছে জনগণ। আগের মতো আর সিরিয়াল দিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আমরা মানুষকে প্রস্তুত করেছি উন্নত প্রযুক্তিতে যাওয়ার।’

আরো পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা বাতিলে রুল শুনতে নতুন বেঞ্চ গঠন

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘একসময় এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল, ব্যঙ্গ করতো। আমরা তাদের কথায় কান দেইনি। এগিয়ে গেছি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে। আজকে তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে।’

এম/


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250